বিনোদন ডেস্ক : দিনকয়েক আগেও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) ছিল যেন এক ভূতুড়ে নগরী। ছিল না লাইট, ক্যামেরা অ্যাকশনের কোনো চিত্র। বিভিন্ন সমিতির সামনে গুটিকতক মানুষের আড্ডা ছাড়া ছিল না কোনো কাজ। এফডিসিতে শুটিং ব্যয় বেশি হওয়ায় অনেকেই বাইরেই শুটিং করতেন।
বিশেষ করে সিনেমার শুটিং প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল। এ ছাড়া নাটক বা বিজ্ঞাপনের কাজ কিছুটা এফডিসিতে হলেও, অনেকেই অনীহা প্রকাশ করতেন অধিক খরচের জন্য।
সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের একটি অভিযোগ ছিল, এফডিসিতে শুটিং করাটা ব্যয়বহুল, ফ্লোর ভাড়া থেকে শুরু করে ক্যামেরা, লাইট, সম্পাদনা, কালার গ্রেডিংয়ের খরচ অনেক বেশি। যা বাইরে থেকে ভালো সুযোগ-সুবিধায় তুলনামূলক কম খরচেই পাওয়া যায়।
সম্প্রতি সিনেমার আঁতুড়ঘর হিসাবে পরিচিত এফডিসির অতীতের রূপ ফেরাতে শুটিং ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে সিনেমা নির্মাণে শুটিংয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও স্থাপনা ভাড়ার হার পরীক্ষামূলকভাবে ছয় মাসের জন্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এফডিসির প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানানো হয়।
এদিকে নির্মাণ ব্যয় কমার খবরে ফের কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছে এফডিসি। গত মাস থেকেই প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরে প্রায় প্রতিদিন শুটিং হচ্ছে। চলতি মাসেও চোখে পড়েছে ব্যস্ততা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মাসে এফডিসির কোনো ক্যামেরা ফ্রি নেই, সব বুকিং হয়ে আছে। এরই মধ্যে এফডিসিতে বেশ কয়েকটি বড় বাজেটের কাজ হতেও দেখা গেছে। তার মধ্যে নাটক, সিনেমা, মিউজিক ভিডিও, বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের পাশাপাশি টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের শুটিংও নিয়মিত হচ্ছে এখন। নির্মাণ ব্যয় কমানোর ফলে এফডিসি যেন তার আগের রূপে ফিরে আসতে চলেছে। নির্মাতা ও প্রযোজকরা বলেছেন, যন্ত্রপাতি ও স্থাপনা ভাড়ার হার কমার খবরে এফডিসিতে কাজ বেড়েছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে এফডিসির প্রতিটি ফ্লোর প্রতিদিনই শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকবে।
শুটিং ব্যস্ততা বাড়ায় ব্যস্ত সেট ডিজাইনাররাও। প্রতিদিন তৈরি করতে হচ্ছে নতুন নতুন সেট। জানা গেছে, শুটিং বাড়ায় প্রতিদিনই বিজ্ঞাপন, ফটোশুট, টেলিভিশনের অনুষ্ঠানের সেট নির্মাণ নিয়ে ব্যস্ত থাকছেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।