আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংসদ নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের দল বাথ পার্টি ও তার জোটসঙ্গীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলিতে হওয়া সংসদ নির্বাচনের ফল জানা যায়। প্রত্যাশা যা ছিল ফলাফল তা-ই হয়েছে। ক্ষমতাসীন বাশার আল-আসাদের দল বাথ পার্টি ও তার জোটসঙ্গীদের পক্ষেই এসেছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা। রোববারের ভোটে ২৫০টি আসনের মধ্যে ১৭৭টি পেয়েছে এই জোট। খবর এপি ও ডয়চে ভেলে’র।
এ নির্বাচনে ভোট দিতে আসেন ৩৩ শতাংশ ভোটার। এ সংখ্যা ২০১৬ সালের চয়ে ২৪ শতাংশ কম ছিল বলে জানান সিরিয়ার নির্বাচন কমিশনের প্রধান সামির জামরিক। নির্বাচনের ফলাফলে কেউ অখুশি থাকলে তা জানানোর সুযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থী ফলাফলে সন্তুষ্ট না হলে আগামী তিন দিনের মধ্যে অভিযোগ করতে পারেন।’ সিরিয়ায় সরকার-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলজুড়ে ৭ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এমন একটা সময়ে এই নির্বাচন হলো যখন সিরিয়ার সামনে এক দিকে রয়েছে বাজারে ধ্বস অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহলে নানা ধরনের বিধিনিষেধ। নতুন করে অর্থনীতিকে দাঁড় করানোর ইস্যুকে সামনে রেখে এবারের নির্বাচনে লড়েন মোট ১ হাজার ৬৫৮জন প্রার্থী।
কতটা নিরপেক্ষ এই নির্বাচন?
আসাদ সরকারের মূল রাজনৈতিক বিরোধীরা কেউই বর্তমানে সিরিয়ায় নেই। সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলসহ একাধিক বিরোধী জোটের সদস্যরা হয় তুরস্কে বা অন্য কোথাও। তাদের কেউই এই নির্বাচনকে নিরপেক্ষ হিসাবে দেখেন না। জাতিসংঘের একটি আলোচনায় বিরোধী জোটের সদস্য ইয়েহিয়া আরিদি বলেন, ‘সোজা কথায় বললে এই নির্বাচন অবৈধ। ক্ষমতাসীন যারা তারা নিজেরাই সব পছন্দের প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে, আর নির্বাচতও করেছে।’ জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ-কে তিনি বলেন, ‘সিরিয়ায় মানুষের কাছে স্বাধীনভাবে ভোট দেবার ক্ষমতাটুকুও নেই। এটা পুরো সরকারের নাটক৷’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এই নির্বাচনকে ‘সাজানো’ ও ‘অনৈতিক’ আখ্যা দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।