
জুমবাংলা ডেস্ক : দুইপাশে গজিয়ে ওঠা চরের মাঝখান দিয়ে বইছে সরু পানির ধারা। নদী নয়, যেন মরা খাল। এক সময়ের খরস্রোতা সুরমা নদীর এখন এমনই জীর্ণদশা।
সিলেট নগরীর কাজিরবাজার থেকে দক্ষিণ সুরমার শ্রীরামপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা। পুরো এলাকাজুড়ে সুরমার বুকে জেগেছে দীর্ঘ চর। চরের ওপর গজিয়েছে ঘাস। সেখানে খেলাধুলা করছে শিশু-কিশোররা। দেখে যে কেউ পতিত জমি মনে করতে পারেন।
দুইপাশে গজিয়ে ওঠা চরের মাঝখান দিয়ে বইছে সরু পানির ধারা। নদী নয়, যেন মরা খাল। এক সময়ের খরস্রোতা সুরমা নদীর এখন এমনই জীর্ণদশা।
কেবল নগরী আর আশপাশের এলাকাতেই নয়, দেশের দীর্ঘতম এই নদীর প্রায় পুরোটাজুড়েই এখন এমন করুণ অবস্থা। সুরমা নদীর উৎসমুখ জকিগঞ্জের আমলসীদ থেকে কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়ার সংযোগস্থল পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি চর জেগেছে। তলদেশ বালি-মাটিতে ভরাট হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে পুরো নদী যেমন পানিশূন্য থাকে, তেমনি বর্ষাকালে অল্পবৃষ্টিতেই দেখা দেয় বন্যা। আর নদীর দুই তীরে সৃষ্টি হয় তীব্র ভাঙন।
সুরমাকে বাঁচাতে ১৯৯৭ সালে নদী খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও আজ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, এই নদীর অন্তত ২৫-৩০ কিলোমিটার অংশ বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের আওতাধীন। ফলে ভারতের সম্মতি না পাওয়ায় খননের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এরপর ২০১৮ সালে সিলেট সদর ও বিশ্বনাথ এলাকার নদীর কিছু চর খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এটি এখনও জরিপ পর্যায়ে রয়েছে।
জানা যায়, ভারতের বরাক নদ আসামের করিমগঞ্জ হয়ে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার অমলশিদ এলাকায় সুরমা ও কুশিয়ারা নামে ভাগ হয়েছে। সুরমা সিলেটের কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ ও সিলেট সদর হয়ে সুনামগঞ্জে গিয়ে মিশেছে। প্রায় ২৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সুরমা নদীর ১১০ কিলোমিটারই পড়েছে সিলেটে। গত দুই দশকে এই ১১০ কিলোমিটারের ৪০-৪৫ শতাংশ অংশে চর পড়েছে। যেখানে চর পড়েনি, সেখানে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে।
ছবি ও তথ্যসূত্র : দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।