জুমবাংলা ডেস্ক: দেশের সবচেয়ে পুরোনো গ্যাসক্ষেত্র সিলেটের হরিপুরের ১০ নম্বর কূপে নতুন করে গ্যাস পাওয়া গেছে, যার পরিমাণ প্রায় ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট।
আজ (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘হরিপুরের এই গ্যাস ক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপটি পুনঃখননের পর আমরা নতুন গ্যাসের সন্ধান পেয়েছি। এখানে গ্যাসের চাপ খুবই বেশি যা প্রায় ৩৪০০ পিএসআই (গ্যাসের চাপ মাপার একক)।’
সঞ্চালন লাইন না থাকায় গ্যাস পাওয়া গেলেও এখনই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ কূপের গ্যাস সিস্টেমে (গ্রিডে) আনতে আমাদের উচ্চ চাপ সম্পন্ন লাইন বসাতে হবে। এটা করতে ৭ মাস সময় লাগবে।’
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখানে গ্যাসের যে চাপ আছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে সর্বনিম্ন ৪৪ বা সর্বোচ্চ ১০৬ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে কূপটি থেকে প্রতিদিন ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রটি রক্ষণাবেক্ষণ করে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। গত জুনে ১০ নম্বর কূপটিতে খনন কাজ শুরু করে চীনা কোম্পানি সিনোপেক। এই কূপ খননে ব্যয় হয়েছে ১৪৯ কোটি টাকা।
২০২৫ সালের মধ্যে নতুন পুরোনো মিলিয়ে ৪৬টি কূপ খননের অংশ হিসেবে এই গ্যাস কূপ খনন করা হয়। এই ৪৬টি গ্যাস কূপ থেকে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার প্রত্যাশা করছে পেট্রোবাংলা।
১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। দেশের বর্তমানে গ্যাসক্ষেত্র সংখ্যা হচ্ছে ২৯ টি। তার মধ্যে এসজিএফএল নিয়ন্ত্রণে আছে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র। এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো হচ্ছে হরিপুর গ্যাসফিল্ড, রশিদপুর গ্যাসফিল্ড, ছাতক গ্যাসফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।