জুমবাংলা ডেস্ক : আজ রবিবার সীমিত আকারে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ এলাকার কিছু কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য বিধি নিয়ে অসন্তোষ আছে শ্রমিকদের।
রাজধানীর টঙ্গীর শিল্পাঞ্চলে সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে সড়কে পোশাককর্মীদের ভিড় দেখা যায়। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে তাদের।
শ্রমিকরা জানান, এখানকার বেশ কিছু কারখানা শনিবার থেকেই চালু হয়েছে। কর্মস্থলে ঢোকার আগে জীবাণু নাশক দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য একই ফ্লোরে কর্মীদের সংখ্যা আগের চেয়ে কমিয়ে দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে এছাড়া আর কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এর আগে, ক্রেতাদের রপ্তানি আদেশের পণ্য পৌছানোর চাপ আছে-এ রকম কারখানাগুলোকেই এ অবস্থার মধ্যে খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ।
তবে ঢাকার বাইরের শ্রমিকদের এ মুহূর্তে কারখানায় না আনার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর পক্ষ থেকে।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক কারখানার খোলার বিষয়টি অবহিত করে শনিবার রাতে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনের সদস্যভুক্ত কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে খোলা হচ্ছে।
শুরুতে রোববার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের কিছু কারখানা, ২৮ থেকে ৩০ এপ্রিল আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই ও মানিকগঞ্জের কারখানা, ৩০ এপ্রিল রূপগঞ্জ, নরসিংদী, কাঁচপুর এলাকা, ২ ও ৩ মে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকার কারখানা চালু করা হবে। কারখানা খোলার ক্ষেত্রে শুরুতে উৎপাদন ক্ষমতার ৩০ শতাংশ চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হবে।
এই চিঠি পাওয়ার পর শ্রম মন্ত্রণালয়ও তাৎক্ষণিক একটি চিটি ইস্যু করেছে। এতে সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মেনে কারখানা চালু করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


