জুমবাংলা ডেস্ক : পোশাক কারখানার জন্য সুতা আমদানির ঘোষণা দেওয়া একটি কনটেইনারে বালু পেয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বালুভর্তি কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাসের সময় আটক করা হয়েছে। ঘোষণা বহির্ভূতভাবে বালু এনে বিদেশে টাকা পাচার করা হয়েছে বলে ধারণা কাস্টমস কর্মকর্তাদের।
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের ‘ওভারফ্লোইয়ার্ড’ থেকে কনটেইনারটি আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন কাস্টমসের উপ-কমিশনার নুর উদ্দিন মিলন।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, গাজীপুরের মির্জাপুর এলাকার ‘এন জেড এক্সেসরিজ লিমিটেড’ নামে একটি টেক্সটাইল কারখানা এক্সিম ব্যাংকের গুলশান শাখায় চীন থেকে ৩২ হাজার ১০ ডলার সমমূল্যের পলিস্টার আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলেছিল। চীনের জিংতাই ইয়ামিঝি টেক্সটাইল কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পলিস্টার কেনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঘোষণা অনুযায়ী কনটেইনার নিয়ে এমভি থর্সউইন্ড নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এন জেড এক্সেসরিজ চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের কালকিনি কমার্শিয়াল এজেন্সিস লিমিটেড নামের একটি সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানকে তাদের আমদানি করা সুতার কনটেইনার খালাসের দায়িত্ব দেয়। আজ দুপুরে কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড থেকে বের করা হচ্ছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার নুর উদ্দিন মিলন বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা বন্দরের ইয়ার্ডে গিয়ে কনটেইনারটি আটক করি। সেখানে তল্লাশিতে সুতার পরিবর্তে আমরা বালু পাই। আমদানির নামে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।