জিওফ্রে হিন্টন ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অধ্যয়ন করছেন। সম্প্রতি, তিনি AI এর মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যাইহোক, তিনি স্পষ্ট করেছেন যে এই হুমকিটি ChatGPT-এর মতো AI থেকে আসে না, বরং “সাধারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” থেকেই আসে। যেখানে AI নিজে থেকেই সকল কাজ করতে সক্ষম।
হিন্টন বিশ্বাস করেন যে, প্রথমে মনে হয়েছে এ ধরনের কার্যকরী AI পেতে 20 থেকে 50 বছর সময় লাগবে। তবে এখন তিনি মনে করেন এটি মাত্র 20 বছর বা তার কম হতে পারে, যা বেশ উদ্বেগের কারণ। তিনি বিশ্বাস করেন যে, এই প্রযুক্তি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে আমাদের কঠোরভাবে ভাবতে হবে।
হিন্টন একটি বিশ্ব-পরিবর্তনকারী প্রযুক্তিকে কীভাবে পরিচালনা করবেন তা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কারণে মানবতা সম্ভাব্য হুমকির মধ্যে পড়তে পারে। তিনি উদ্বিগ্ন যে, কয়েকটি কোম্পানি বা সরকারের হাতে এ ধরনের AI প্রযুক্তি থাকতে পারে।
হিন্টন, যিনি কানাডিয়ান সরকারের অর্থায়নে তার AI ভিত্তিক কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। এখন তিনি Google-এর জন্য কাজ করছেন। তিনিই প্রথম ব্যক্তিদের মধ্যে একজন যিনি এ ধরনের টেকনোলোজি তৈরিতে কাজ করেছিলেন। এই মেশিন লার্নিং ধারণা এর ধারণা এখন সমাজে বেশ সাধারণ।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিন্সের একটি নেতিবাচক দিকও রয়েছে। যেমন AI দ্বারা ক্রমবর্ধমান ভুল তথ্য দেওয়ার বিষয়টি। যেহেতু AI ক্ষমতা দ্রুতগতিতে বাড়তেই থাকবে। তাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিন্সকে পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। হিন্টন বিশ্বাস করেন যে, এসব সমস্যা নিয়ে মানুষের উদ্বিগ্ন হওয়া যুক্তিসঙ্গত। মানুষের উচিত এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা শুরু করা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিন্সকে কেন্দ্র করে তিনি কয়েকটি কোম্পানি বা সরকারের ।।অতি ক্ষমতাবান হওয়া নিয়ে চিন্তিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।