জুমবাংলা ডেস্ক : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জ্বর, খিঁচুনি ও শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আবু সাঈদ নামের দেড় বছর বয়সী শিশু সুস্থ রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় আশংকাজনক অবস্থায় ঐ শিশুকে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার নিজ গাড়ী করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সুস্থ্য হয়ে ওঠা শিশু আবু সাঈদ উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের পারশিতলাই গ্রামের রাসেল আলীর ছেলে।
জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলার পিয়াপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে মায়ের সাথে নানার বাড়িতে থাকা অবস্থায় শিশুটির প্রচন্ড জ্বর, খিঁচুনির ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে পরিবারের লোকজন কান্নাকাটি ও শোরগোল শুরু করে দেয়। এমনকি যানবহনের অভাবে হাসপাতালে নিতেও সমস্যার সম্মুখীন হন তারা।
সোমবার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জনসচেতনতা সৃষ্টি ও হাট-বাজারের দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে কিনা তা দেখতে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছিল।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেয়া দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার ওই বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কান্না-কাটি ও শোরগোল শুনে গাড়ি থামিয়ে ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। কান্নারত মায়ের কোলে শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক অবস্থা দেখে তৎক্ষণাত শিশুটিকে গাড়িতে করে দ্রুত দৌলতপুর হাসপাতালে নেন তিনি।
মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন থাকা শিশুটির বিষয়ে দৌলতপুর হাসপাতালের ডা. অরবিন্দ পাল জানান, শিশুটি আগের তুলনায় ভাল রয়েছে। এখনো বিপদ কাটেনি তবে চিকিৎসা চলছে, সুস্থ্য হয়ে উঠবে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, নিজ কর্তব্য ও মানবতার দৃষ্টিকোণ থেকে শিশুটিকে দ্রুত হাসাপাতালে নেয়া হয়েছিল। শিশুটি আগের চেয়ে ভাল রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।