Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    Bangla news
    Home সূর্য থেকে কোন রঙের আলো বেশি নিঃসৃত হয়?
    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    সূর্য থেকে কোন রঙের আলো বেশি নিঃসৃত হয়?

    Yousuf ParvezNovember 24, 20245 Mins Read
    Advertisement

    সূর্য থেকে কোনো আলো বা রশ্মি সবচেয়ে বেশি নিঃসৃত হয়? অবলোহিত? গামারশ্মি? নাকি অন্য কোনো তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো? এর উত্তরে বেশিরভাগ মানুষই ভুল উত্তর দেবেন নিশ্চিত। এবারও কেউ বলবেন, হলুদ আলো। কেউ বলবেন, লাল আলো। কেউ কেউ সাদা আলোর কথাও বলতে পারেন। কিন্তু প্রকৃত উত্তর হলো, সবুজ আলো।

    সূর্য

    সূর্য থেকে এটাই সর্বোচ্চ পরিমাণে নিঃসৃত হয়। এই রঙের আলোই সবচেয়ে উজ্জ্বল। এরপরেই অবস্থান নীলের। আর লাল অংশটা কিছুটা ফিকে। দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় ৩৮০ থেকে ৭৮০ ন্যানোমিটার মধ্যে সীমাবদ্ধ। কাকতালীয় মনে হতে পারে, সবুজের অবস্থান আলোর বর্ণালী একদম মাঝখানে। এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ ন্যানোমিটার। অর্থাৎ সবুজের একপাশে রয়েছে বেগুনি, নীল ও আসমানী এবং অন্যপাশে রয়েছে হলুদ, কমলা ও লাল।

    কথাটা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না, তাই তো! ভাবছেন, কথাটা সত্যি হলে তো সূর্যকে সবুজ দেখার কথা। তা দেখি না কেন? তার উত্তর দেওয়ার আগে বলি, সূর্য থেকে সবুজ আলো বেশি নিঃসৃত হয় বলেই রংধনুতে সবুজের এত ছড়াছড়ি। রংধনুতেও সবুজ রংটাই সবচেয়ে উজ্জ্বল দেখায়।

       

    সূর্যের আলোতে একটা প্রিজম ব্যবহার করে এ কথার সত্যতা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যে কেউ। প্রায় চারশ বছর আগে বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন প্রিজমের ভেতর দিয়ে সূর্যের আলো চালনা করেন। এর মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেন, সূর্যের আলো রংধনুর মতো সাতটি আলাদা রঙে বিশ্লিষ্ট হয়ে যাবে। একটা প্রিজম যোগাড় করতে পারলে, পরীক্ষাটা নিজেও হাত-কলমে করে দেখতে পারবেন। তাহলে দেখা যাবে, সেসব রঙের মধ্যে সবুজই জ্বলজ্বল করবে সবচেয়ে বেশি।

    তাহলে জরুরি প্রশ্নটা হলো, সূর্যকে সবুজ দেখায় না কেন? এর সরল উত্তর আগেও আলোচিত হয়েছে। কারণ আমাদের চোখ এমনভাবে ডিজাইন করা, যাতে সূর্যের মৌলিক রং—অর্থাৎ সবুজ, লাল ও নীল—একসাথে রেটিনায় আঘাত করলে, পুরো মিশ্রণটি সাদা হিসেবে ধরা পড়ে। সাদা মানে এতে সব রংই আছে।

    এ কথা মাথায় রেখে সবুজ ঘাস বা গাছের সবুজ পাতা দেখে অনেকে ভুল ভেবে বসতে পারেন (পাতার উপাদান ক্লোরোফিল নামের সবুজ এক যৌগ)। অনেকে হয়তো যুক্তির সিঁড়ি বেয়ে সিদ্ধান্ত পৌঁছাবেন যে উদ্ভিদজগৎ সূর্যের সবুজ রংটাই বেশি পছন্দ করে। তাই তাদের রং এমন সবুজে সবুজময়। কিন্তু পাতা, গাছপালা বা ঘাস মোটেও সবুজ রং পছন্দ করে না। বরং সূর্যের নীল ও লাল তরঙ্গদৈর্ঘ্যটাই তাদের বেশি পছন্দের।

    এই দুই আলো শোষণ করেই সম্পন্ন করে খাদ্য উৎপাদনের জন্য সালোকসংশ্লেষণের মতো জটিল প্রক্রিয়া। বিপরীতে সূর্যালোকের সবুজ অংশটা প্রতিফলিত করে। তাই ঘাসে ছাওয়া মাঠটাকে আমরা সবুজ দেখি। তখন আমাদের মনে হয়, ‘পৃথিবীর সব রূপ লেগে আছে ঘাসে;’ (জীবনানন্দ দাশ)।

    আসলে কোনো বস্তু আলোর যে অংশটা বা তরঙ্গদৈর্ঘ্যটা শোষণ করে, সেটা আমরা দেখতে পাই না। কিন্তু যে অংশটা প্রতিফলিত করে, সেটা দেখতে পাই। যেমন কালো রঙের বস্তু আসলে সব রং শোষণ করে, তাই সেটা কালো। সাদা বস্তু তার ওপর পড়া সব রং প্রতিফলিত করে, তাই সেটা চোখে সাদা হয়ে ধরা পড়ে। একইভাবে কোনো বস্তু লাল হওয়ার অর্থ, বস্তুটা সব রং শোষণ করলেও একমাত্র লাল রংটাই প্রতিফলিত করছে। একইভাবে ঘাস বা গাছের কাছে সূর্যের আলোর যে তরঙ্গদৈর্ঘ্যটা বা অংশটা অবাঞ্ছিত ও অপ্রয়োজনীয় সেটাই আমাদের চোখে ধরা পড়ছে সবুজ হয়ে।

    যাই হোক, সূর্যের এই বিশেষ গুণের কারণে আমাদের মধ্যে এক ধরনের পক্ষপাত আছে। একে বলা চলে সূর্যের প্রতি পক্ষপাত বা সান বায়াস। রাতের আকাশে তাকালে গ্রহগুলো দেখে স্বস্তি। রাতের তারাভরা আকাশে তাকিয়ে পার্থিব মুগ্ধতায় ভরে ওঠে মন। জুড়ায় চোখও। আকাশের সব নক্ষত্রই প্রায় একই ধরনের আলো নিঃসরণ করে। সেগুলোও আমাদের সূর্যের মতো একই রঙের সমন্বয়ে গঠিত। কাজেই বলাই যায়, আমরা সূর্যের চোখে মহাবিশ্ব দেখি। কারণ আমাদের রেটিনা ও মস্তিষ্কে সূর্য-চশমা আটা।

    সূর্যের শক্তির সর্বোচ্চ অংশ সবুজ আলো হওয়ার কারণে এ রংটা আমরা সবচেয়ে সহজে অনুভব করতে পারি। গোধূলি বেলায়, আলো যখন ঘোলাটে হয়ে যায়, রংগুলো প্রায় বিবর্ণ হয়ে যায়, তখনও ঘাস বা গাছের পাতা সবুজ দেখতে পাই। কিন্তু লাল জামা ও বেগুনি ফুলগুলো আমাদের চোখে ধুসর লাগে। রাতের বেলা আমরা যে বেশিরভাগ বস্তুর প্রকৃত রং বুঝতে পারি না, এটাই তারই প্রথম ধাপ। একে সাময়িক বর্ণান্ধত্ব বলা যায়।

    শহরের কৃত্রিম আলো থেকে অনেক দূরের কোনো গ্রামে পূর্ণিমা দেখার অভিজ্ঞতা হয়তো অনেকেরই আছে। পূর্ণ চাঁদের এই জোছনায় পৃথিবীকে দেখা যায় সবজে-নীল বা ফিরোজা রঙের। প্রশ্ন হলো, সাদা চাঁদের আলোয় সবকিছু এমন ফিরোজা রঙের হয়ে ওঠে কেন?

    সে উত্তর দেওয়ার আগে আরেকটা কথা বলে নিই। আলোকচিত্রী, চিত্রশিল্পী ও সিনেমা নির্মাতারা চাঁদের আলোর এই অদ্ভুত প্রভাব সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানে। তাই সিনেমা বা নাটকে রাতের দৃশ্য ধারণ করতে এই জ্ঞানটুকু কাজে লাগান। চাঁদের পৃষ্ঠ আসলে সূক্ষ্ণ গুড়ো ধুলিবালি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তবু সেখান থেকে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়। অনেকটা আয়নার মতো। তবে সে আয়না চকচকে নয়, ঝাপসা।

    তাই ঠিকমতো আলো প্রতিফলিত করতে পারে না। চাঁদের উজ্জ্বলতা সূর্যের উজ্জ্বলতার চেয়ে প্রায় সাড়ে চার লাখ ভাগ কম। সিনেমার ফটোগ্রাফাররা তাই প্রায়ই সূর্যের আলোতে কোনো দৃশ্যের শুটিং করেন। এরপর উষ্ণ রংগুলো ব্লক করতে ফিল্টার ব্যবহার করেন। আলো আরও কমাতে বা আরও অনুজ্জ্বল করতে লেন্সের ফোকাল লেন্থেও কারসাজি করেন। ব্যস, কেল্লা ফতে! এভাবেই তৈরি হয় চাঁদের আলোর জোছনার বিভ্রম। কিন্তু চাঁদের আলোর আসল রং ফিরোজা কেন?

    আগেই বলেছি, চোখের রেটিনায় দুই ধরনের কোষ থাকে—রড ও কোন কোষ। দিনের আলোতে কোন কোষ সক্রিয় থাকায় সব রঙের আলো অনুভব করা যায়। বিশেষ করে হলদে-সবুজের প্রতি রেটিনার সংবেদনশীলতা থাকে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু কম আলোতে অনুভব বদলে যায় নীলচে আলোতে। রেটিনার সংবেদনশীলতা বেড়ে যায় নীলচে-সবুজের প্রতি। আর আলোর বর্ণালী রেখার অন্য প্রান্তের লাল ও বেগুনির প্রতি সংবেদনশীলতা হুট করে নাই হয়ে যায়। এ রংগুলো তখন চোখে ধরা পড়ে ধুসর রঙে। তাই চাঁদের আলো দেখতে ওমন ফিরোজা লাগে।

    কম আলোতে চোখের সংবেদনশীলতার এই পরিবর্তনকে বলা হয় পারকিনজে শিফট। পোলিশ বিজ্ঞানী জ্যান পারকিনজে প্রথম ব্যাপারটা খেয়াল করেন। তাই তাঁর নামেই এর নামকরণ করা হয়। অপরাধ তদন্তে যে হাতের ছাপ ব্যবহার করা যায় সে কথাও প্রথম বলেন তিনি। যাই হোক, রেটিনার কোণ আকৃতির কোন কোষগুলো কাজ করে কালার রিসেপ্টর হিসেবে।

    দিনের আলো যথেষ্ট ম্লান হয়ে গেলে আমরা প্রকৃতির সবুজ রং অনুভব করতে পারলেও কমলা ও লাল অনুভব করতে পারি না। এ কারণে আধুনিক শহরগুলোতে এখন ফায়ার সার্ভিসের আগুন নেভানোর গাড়িগুলো রাঙানো হয় লাল রঙে নয়, সবুজ রঙে। কারণ রাতের বেলা প্রচলিত লার রঙ আমরা ভালো করে বুঝতে পারি না। একই কারণে যুক্তরাষ্ট্রের হাইওয়ের সাইনগুলোর জন্যেও এখন বেছে নেওয়া হচ্ছে সবুজ রং।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘ও আলো কোন থেকে নিঃসৃত প্রযুক্তি বিজ্ঞান বেশি রঙের সূর্য হয়,
    Related Posts
    POCO F8 Ultra

    POCO F8 Ultra : 16GB RAM ও শক্তিশালী Snapdragon 8 Elite Gen 5 প্রসেসরসহ বাজারে আসছে 

    November 14, 2025
    Reboot-Android-Phone

    ফোন রিস্টার্ট দিলে কী হয়? জানুন এর ৬টি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা

    November 14, 2025
    Income

    ছাত্রজীবনে আয় করার সহজ কয়েকটি উপায়

    November 14, 2025
    সর্বশেষ খবর
    POCO F8 Ultra

    POCO F8 Ultra : 16GB RAM ও শক্তিশালী Snapdragon 8 Elite Gen 5 প্রসেসরসহ বাজারে আসছে 

    Reboot-Android-Phone

    ফোন রিস্টার্ট দিলে কী হয়? জানুন এর ৬টি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা

    Income

    ছাত্রজীবনে আয় করার সহজ কয়েকটি উপায়

    Smartphones

    সেরা ১০টি দ্রুতগতির স্মার্টফোন, সর্বশেষ আপডেট

    স্মার্টফোন স্লো

    স্মার্টফোন স্লো হয়ে গেলে ফাস্ট করার দুর্দান্ত উপায়

    Amazon

    আমাজনে লিস্টেড হল প্রথম Wobble স্মার্টফোন, প্রকাশ্যে এল ডিজাইন এবং ফিচার

    ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট

    ৩টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট, যা শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা

    স্মার্টফোন

    ৩০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা ৫টি স্মার্টফোন

    File Delete

    ফাইল ডিলিট করলে কোথায় চলে যায়? খুঁজে পাওয়া যায়না কেন

    ডার্ক ওয়েব

    ডার্ক ওয়েব আসলে কী? ইন্টারনেটে যেভাবে নিরাপদ থাকবেন

    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.