সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় আসে। এই চাঁদ হলো অমাবস্যার চাঁদ। অথচ প্রতিটি অমাবস্যায় কিন্তু সূর্যগ্রহণ হয় না। কারণ, চাঁদ সাধারণত সূর্যের একটু ওপরে না হয় একটু নিচ দিয়ে সূর্যকে পাড়ি দেয়। ১ নম্বর চিত্রে আমরা দেখছি পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের কক্ষপথ সৌরীয় তল বা অয়নপথকে (Ecliptic) প্রায় ৫ ডিগ্রি কোণে ছেদ করে। পৃথিবীর উত্তর মেরুর অনেক ওপর থেকে সৌরমণ্ডলের দিকে তাকালে যা দেখা যায়, এই চিত্র সেভাবে আঁকা হয়েছে।
চাঁদ যখন দক্ষিণ থেকে উত্তরে যায় এবং অয়নপথের সঙ্গে ০ ডিগ্রি অবস্থানে আসে, সেই বিন্দুকে উচ্চপাত (Ascending node) এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে যাওয়ার সময় অয়নপথের ছেদবিন্দুকে নিম্নপাত (Descending node) বলা হয়। শুধু সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদের উচ্চপাত বা নিম্নপাত (যেকোনো একটি নোড) যখন একটা সরলরেখায় আসে, তখনই সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হতে পারে। নিচের চিত্রে দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ সময় চাঁদের ছায়া পৃথিবীতে পড়ে না এবং আমরা গ্রহণ দেখতে পাই না।
প্রতি ২৭.২১২২ দিন (যাকে ড্রাকোনিক মাস বলে) পরপর চাঁদ উচ্চপাত বা নিম্নপাতে (Node) ফিরে আসে। তবে ঠিক একই জায়গায় ফিরে আসে না, পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে দেখলে সে আগের পূর্ববর্তী নোডের একটু পশ্চিমে অয়নপথকে ছেদ করে। এক ড্রাকোনিক মাসে চাঁদ আগের ছেদবিন্দুর তুলনায় ১.৪৪ ডিগ্রি ও এক বছরে ১৯.৩৬ ডিগ্রি সরে, ১৮.৬০ বছর পর পুনরায় তার নোড একই বিন্দুতে ফিরে আসে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।