সেই অটোচালককে জড়িয়ে ধরলেন সাইফ

জুমবাংলা ডেস্ক : রক্তাক্ত সাইফ আলি খানকে নিজের অটোতে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছিলেন ভজন সিং রানা। তখন এক পয়সাও নেননি তিনি। আজ হাসপাতালে দেখা করতে গেলে তাকে জড়িয়ে ধরেন বলিউড তারকা সাইফ আলি খান। তার মা অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরও তার মঙ্গল কামনা করে দোয়া করেন তার জন্য।

অটোচালক ভজন সিং রানা এখন মুম্বাইয়ের সড়কের হিরো। তাকে ঘিরে অন্য অটোচালকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উন্মাদনা। তার পেছনে ঘুরছেন ছবিশিকারির দল। দুঃসময়ে নিজের অটোতে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রানার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অভিনেতা সাইফ আলি খান। এমনকি তাকে পুরস্কৃত করার ঘোষণাও দেন এই অভিনেতা।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ছবিতে একসঙ্গে দেখা গেছে সাইফ আলি খান ও ভজন সিং রানাকে। এ সময় অভিনেতার পরনে ছিল সাদা শার্ট আর ডেনিম। ভজন পরেছিলেন নীল শার্ট। মুখের মাস্ক কিছুটা নামিয়ে হাসিমুখে ছবি তুলেছেন তিনি। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার সময় রানার কাঁধে হাত রেখে কখনও ক্যামেরায় পোজ দিয়েছেন অভিনেতা, কখনও কেবিনেই তার সঙ্গে হাসিমুখে আড্ডা দিয়েছেন। মুম্বাইয়ের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সাইফকে সহযোগিতা করার জন্য এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার রানাকে ১১ হাজার রুপি পুরস্কার দিয়েছে। যদিও এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেনি ওই সংবাদমাধ্যম।

সাইফের ওপর হামলার ঘটনার পর অটোচালক রানা জানিয়েছিলেন, গভীর রাতে বান্দ্রার রাস্তায় অটো চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ এক বাড়ির গেট থেকে একটি নারীকণ্ঠের চিৎকার তার কানে আসে। সাহায্যের আকুতি জানিয়ে তাকে ডাকছিলেন তিনি। শুরুতে তিনি বুঝতে পারেননি যে সেটা কোনো তারকার বাড়ি।

সে রাতের অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন ভজন। তার কথানুসারে, ‘পরে দেখি গুরুতম জখম অবস্থায় একজন হেঁটে আমার অটোতে উঠে বসলেন। তার সঙ্গে দুজন ছিলেন। অটোতে উঠে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, কতক্ষণ লাগবে? আমরা ৮-১০ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে যাই। তার ঘাড়, পিঠ থেকে দরদর করে রক্ত ঝরছিল। সাদা পাঞ্জাবি রক্তে ভিজে লাল হয়ে গিয়েছিল। সারাটা পথ অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছিল তার। পরিস্থিতি দেখে তার কাছে ভাড়াও চাইনি। তবে সাইফ আলি খানকে দুঃসময়ে সাহায্য করতে পেরে আমার ভালো লেগেছে।’

আহত সাইফ অটোতে করে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। অথচ তার সংগ্রহে রেঞ্জ রোভার ভোগু, মার্সিডিজ এস ক্লাস, অডি আরএইট, ল্যান্ড রোভার, ফোর্ড মুস্তাং জিটির মতো বিলাসবহুল গাড়ি ছিল। কেন? সাইফ জানিয়েছেন, ঘটনার পর নিজের গাড়িচালকদের ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যেতে যেতে অনেক দেরি হয়ে যেত। তাদের বাড়ি থেকে হাসপাতাল প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। অনেকটা বাধ্য হয়েই অটোতে চেপে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল সাইফকে।