জুমবাংলা ডেস্ক : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় মধুমতি নদীতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া শিশুকে জীবিত উদ্ধারের আশ্বাস দেওয়া সেই তান্ত্রিককে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
পাঁচ দিন আগে মধুমতি নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া তিন বছরের শিশু ওমর ফারুককে জীবিত উদ্ধারের আশ্বাস দিয়ে রবিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে মহম্মদপুরের গোপালনগর গ্রামে শিশুটির বাড়িতে আসর বসিয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম (৩০) নামের এক তান্ত্রিক ও তার দল। রাতভর চলে তন্ত্র-মন্ত্র সাধনা। অন্ধকারে মোমবাতি-আগরবাতি জ্বালিয়ে করা হয় গান-বাজনা।
তান্ত্রিক দাবি করেছিলেন, তার তন্ত্রমন্ত্রের জোরে নিখোঁজ ওমর ফারুক নদী থেকে জীবিত উঠে আসবে।
বিষয়টি জানাজানি হলে কয়েক হাজার লোক জড়ো হন ওমর ফারুকের বাবা গোলাম মাওলা শেখের বাড়িতে।
শত শত মানুষ নদীতে টর্চলাইট ও মোবাইল ফোনের আলো ফেলে ওমর ফারুকের উঠে আসার দৃশ্য দেখতে অপেক্ষা করেন। রাত গভীর হওয়ার পরও ওমর ফারুক ফিরে না আসায় কথিত তান্ত্রিক শহিদুল ও তার চার সহযোগীর ওপর চড়াও হন বিক্ষুব্ধ লোকজন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় পুলিশ তান্ত্রিক শহিদুল ও তার চার সহযোগীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ওই দলে এক নারী সদস্যও ছিলেন।
তবে শহিদুল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ না করায় আজ মঙ্গলবার তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
নিখোঁজ শিশু ওমর ফারুকের বাবা জানান, মুর্শিদী গানের আসর বসালে ছেলে ফিরে আসবে, এমন বিশ্বাসে তিনি গানের দলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস বলেছেন, ‘মধুমতি নদীতে নিখোঁজ শিশু ওমরের সন্ধান এখনও মেলেনি। তান্ত্রিক সাধক শিশুটিকে জীবিত এনে দেবে, এমন আশ্বাসের পরও সে ফিরে না আসায় লোকজন তান্ত্রিকের চড়াও হয়। কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।’
কথিত তান্ত্রিক শহিদুলের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট এলাকায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর দুপুরে বাড়ির সামনে মধুমতি নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় শিশু ওমর ফারুক। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তিন দিন চেষ্টার করেও তার সন্ধান পায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।