জুমবাংলা ডেস্ক : নরসিংদীতে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় চৌয়ালা শিল্প এলাকার আন্দোলনরত শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে। রোববার (১৮ আগস্ট) সেনাবাহিনীর ২৮ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ রকিবুল আলমের মধ্যস্থতায় টেক্সটাইল শিল্প মালিক সমিতি ও আন্দোলনরত শ্রমিকদের মধ্যকার সভায় তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয়। পরে সন্ধ্যায় চৌয়ালা শিল্প এলাকার ৩০০ ফ্যাক্টরির ২০ হাজার শ্রমিক কাজে যোগদান করে।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে চৌয়ালায় ইয়ামিনের একটি টেক্সটাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন শ্রমিক মারা যায়। এরপর থেকে শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছিল।
তাদের দাবিগুলো হলো- প্রতিটি কারখানায় অটো সার্কিট ব্রেকার স্থাপন, দুর্ঘটনায় আহত হলে চিকিৎসার সুব্যবস্থা, আন্দোলনকারী শ্রমিকদের উপর অহেতুক নির্যাতন, মামলা বা হয়রানি না করা, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য একটি ক্লিনিক ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখা ও নির্ধারিত সময়ে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা।
শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে রোববার সকালে নরসিংদীর চৌয়ালা শিল্প এলাকায় টেক্সটাইল শিল্প মালিক সমিতি ও আন্দোলনরত শ্রমিকদের মধ্যে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নরসিংদীতে মোতায়েনরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৮ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ রকিবুল আলম, নরসিংদী জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ পারভেজ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের মো. মাহফুজ অংশগ্রহণ করেন। এসময় টেক্সটাইল শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ শিল্প সমিতির অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় অন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবিসমূহ মালিক সমিতি ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়। এতে শ্রমিকরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন। পরে সন্ধ্যায় শ্রমিকরা তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করে।
চৌয়ালা শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নান্নু আলী খান বলেন, সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে। সন্ধ্যায় তারা নিজ নিজ ফ্যাক্টরিতে কাজে যোগদান দিয়েছে। বর্তমানে সকল ফ্যাক্টরি চালু রয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৮ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ রকিবুল আলম সাংবাদিকদের জানায়, নরসিংদীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই ইউনিট দেশ বিনির্মাণে অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের কাজ করে যাচ্ছে। যার মধ্যে সংখ্যালঘু এলাকা ও মন্দির, সকল থানা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই সমূহ) এবং সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও নরসিংদীতে শ্রমিক অসন্তোষ নিরসন থেকে শুরু করে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর এই ইউনিট অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।