সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে আজ মুখোমুখি ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক: সেমিফাইনালের দুয়ারে অনেক আগেই চলে এসেছিল নিউজিল্যান্ড। তারপর টানা দুই হারে বেড়েছে তাদের অপেক্ষা। পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে কিউইরা।

দুর্দান্ত শুরুর পর মাঝপথে এসে থমকে দাঁড়িয়েছিল ইংল্যান্ডও। শেষ ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে আবার গতি পেয়েছে স্বাগতিকদের বিশ্বকাপ মিশন।

এমন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বিশ্বকাপে লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচের দ্বারপ্রান্তে এখন ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড, যে ম্যাচে দুই দলেরই টার্গেট একই রকম। সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করতে মুখিয়ে থাকবে দুটি দল। ম্যাচ জিতলেই মিলবে শেষ চারের টিকিট। অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে ডারহামের চেস্টার লি স্ট্রিটে আজ পরস্পরের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৩টায়।

আট ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে কিউইরা। আজ হারলেও সেমিতে খেলতে পারে নিউজিল্যান্ড। সমান ম্যাচে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। প্রতিপক্ষের তুলনায় তাই জয়ের তাড়নাটা স্বাগতিকদেরই বেশি। জয়টা খুব প্রয়োজন ইংলিশদের। অবশ্য হারলেও সেমিতে উঠতে পারে মরগানের দল। তবে সেক্ষেত্রে অনেক সমীকরণের পাশাপাশি ভাগ্যের পরশটাও লাগবে তাদের। আজ হারলেই বরং বেশি ঝুঁকিতে পড়ে যাবে ইংল্যান্ড। সেমি সুনিশ্চিত করতে তাই জয়টা দুই দলের জন্যই কাঙ্খিত এবং নিরাপদ গন্তব্য।

পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশকে নিয়ে তৈরি হওয়া সমীকরণের জট থাকলেও ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের ভাগ্যটা এখন তাদের নিজেদের হাতেই। চেস্টার লি স্ট্রিটে আজ নিজেদের ভাগ্যটা তারা নিজেরাই গড়তে পারে।

ভারতের বিরুদ্ধে ৩১ রানের জয়ে উজ্জীবিত ইংল্যান্ড। ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন ওপেনার জ্যাসন রয়। তার ফিরে আসাটা ওপেনিংয়ের দুর্ভাবনা দূর করেছে ইংল্যান্ডের। গত ম্যাচে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ১৬০ রানের জুটি গড়েন জ্যাসন রয়, যার ওপর ভর করেই ৩৩৭ রানের বড় স্কোর গড়েছিল স্বাগতিকরা। মার্ক উড, জফরা আর্চারের বাইরে ফাস্ট বোলার লিয়াম প্লাঙ্কেট, ক্রিস ওকসও ভালো ছন্দে আছেন। জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই আজ কিউইদের মুখোমুখি হবে ইংলিশরা।

ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর ক্রিস ওকস বলেছিলেন, ‘চাপের মুখে এমন ম্যাচ জয় আমাদের নিউজিল্যান্ড ম্যাচের জন্য ভালো ছন্দ ও আত্মবিশ্বাস জোগাবে। এবং আশা করি এরপরেও। আপনি খুব বেশি নকআউট ম্যাচ খেলতে চাইবেন না, তাই নিজেদেরকে লড়াইয়ের চাপে ফেলার চেয়ে ভালো ছিল, এতক্ষণে সেমিতে জায়গা করে নেওয়া, যা আমাদের সাহায্য করতে পারত।’

বিশ্বকাপে খুব ভালো শুরু করলেও শেষ দুটি ম্যাচে হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে পড়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। ট্রেন্ট বোল্টের হ্যাটট্রিকের পরও গত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল কিউইরা। তবে শুরুতে বোল্ট, মাঝের ওভারগুলোতে লুকি ফার্গুসনের গতিময় বোলিং নিউজিল্যান্ডের জন্য প্লাস পয়েন্ট। অবশ্য ব্যাটিংয়ে কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলরের পাশাপাশি অন্য ব্যাটসম্যানদের জেগে ওঠা প্রয়োজন। মার্টিন গাপটিল ৬ ম্যাচে ৮৫ রান করেছেন। রান-খরার কারণে কলিন মুনরো বাদ পড়েছেন একাদশ থেকে। রান পাচ্ছেন না টম ল্যাথামও। মিডল অর্ডারে জিমি নিশাম, গ্র্যান্ডহোম গত ম্যাচে রান পেয়েছেন।

ব্যাটিংটা তাই কিউইদের জন্য চিন্তার কারণ বটে। দলের ব্যাটিং কোচ ক্রেইগ ম্যাকমিলান বলেছেন, ‘অবশ্যই (ল্যাথাম, গাপটিল) রান পাচ্ছে না। কিন্তু আমরা উদ্দীপ্ত যে ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে আমরা এখনো জ্বলে উঠতে পারিনি।’