Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home সেলাই মেশিন চালিয়ে ছেলেকে দেশসেরা বিসিএস ক্যাডার বানালেন মা
    পজিটিভ বাংলাদেশ

    সেলাই মেশিন চালিয়ে ছেলেকে দেশসেরা বিসিএস ক্যাডার বানালেন মা

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কJuly 2, 20203 Mins Read
    Advertisement

    অভাবের সংসার ছিল তারাপদ সরকারের। মাছের ব্যবসা করতেন তিনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছ কিনে বিক্রি করতেন হাটবাজারে। সেই মাছ বিক্রির রোজগারের টাকা দিয়ে চলতো সংসার ও ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া।

    ২০০৬ সালে হঠাৎ দুর্যোগ নেমে আসে তার পরিবারে। সাতক্ষীরার ত্রিশমাইল এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তারাপদ সরকার। এতে বেসামাল হয়ে পড়ে তার পারিবার। ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হয়ে যায়।

    বাবা মারা যাওয়ার পর ভারাক্রান্ত মন নিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন ছেলে লালটু সরকার। সেলাই মেশিন চালিয়ে ছেলেকে লেখাপড়ার খরচ দিয়েছেন মা। পাশাপাশি টিউশনি করেছেন লালটু। সেদিনের লালটু সরকার ৩৮তম বিসিএসের শিক্ষা ক্যাডারে সারাদেশের মধ্যে তার সাবজেক্টে তৃতীয় হয়েছেন।

    লালটু সরকার সাতক্ষীরার তালা সদরের মাঝিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভাই-বোনের মধ্যে লালটু ছোট। বড় বোন দিপালী সরকার থাকেন স্বামীর বাড়িতে। মা সুলতা সরকার থাকেন গ্রামের বাবার রেখে যাওয়া কুঁড়েঘরে।

    মঙ্গলবার (৩০ জুন) ৩৮তম বিসিএসের ফল প্রকাশ হয়েছে। ফলাফলে লালটু সরকার সারা দেশের মধ্যে তার সাবজেক্টে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। বুধবার (০১ জুলাই) সন্ধ্যায় আলাপ হয় লালটু সকার ও তার মা দিপালী সরকারের। এ সময় অসহায় হয়ে পড়া দিনগুলোর কথা বলে আবেগাপ্লুত হন মা-ছেলে।

    দিপালী সরকার বলেন, ২০০৬ সালে লালটুর বাবার মারা যাওয়ার পর খুব অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। দিন চলতো না ঠিকমতো। খেয়ে না খেয়ে থেকেছি। এরপর একটি বেসরকারি সংস্থা একটা সেলাই মেশিন দেয়। সেই সেলাই মেশিনের হাতের কাজ করে উপার্জনের টাকা দিয়ে সংসার চালতো। ছেলে লেখাপড়া শিখতো। খুব বেশি খরচ ছেলেকে কোনোদিন দিতে পারিনি। তবে চেষ্টা করেছি সাধ্যমতো। ছেলে বিসিএস ক্যাডার হয়েছে। তবে এটি কি জিনিস আমি বুঝি না। তবে ছেলে বলেছে ভালো চাকরি পেয়েছে। আমাদের আর অভাব থাকবে না। খুব খুশি হয়েছি। ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।

    লালটু সরকার ২০০৭ সালে তালা বিদে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৪ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ২০০৯ সালে তালা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৪.৬০ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে দর্শন বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে ২০১৩ সালে অনার্স ও ২০১৪ সালে মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

    অসহায়ত্বের দিনগুলোর কথা তুলে ধরে লালটু সরকার বলেন, এসএসসি পরীক্ষার এক বছর আগে বাবা মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। কি করব বুঝতে পারছিলাম না। তবে লেখাপড়া চালিয়ে গেছি। অভাবের মধ্যেই বেড়ে উঠেছি। এইচএসসি শেষ করে তালা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর টাকার অভাবে চারটি টিউশনি করেছি। সেই টাকায় শেষ করেছি লেখাপড়া। মা-বোন সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছে আমাকে। মা-ই আমার একমাত্র সম্বল।

    লালটু সরকার বলেন, মাস্টার্স শেষ করার পর বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা দিয়েছি। বার বার ব্যর্থ হয়েছি। তবে আমি স্বপ্ন দেখতাম বিসিএস ক্যাডার হব। ২০১৭ সালে ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। পরীক্ষা দিয়েই বুঝেছিলাম আমার নাম আসবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলাম। এরপর দৈনিক ১৮-১৯ ঘণ্টা পড়ালেখা করতাম। অবশেষে শিক্ষা ক্যাডারে সারা দেশে তৃতীয় হয়েছি। আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

    বিসিএস উত্তীর্ণ হওয়ার পর অনুভূতি জানিয়ে লালটু সরকার বলেন, পরিশ্রম করলে সব সম্ভব। আমি চেষ্টা করেই আজ সফল হয়েছি। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আমি খুব খুশি। এখন সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমার ওপর আসা রাষ্ট্রের সরকারি দায়িত্ব পালন করতে চাই। সেজন্য সবার কাছে দোয়া চাই। বিসিএস ক্যাডার হওয়ার আগে বাংলাদেশ ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। এছাড়া বর্তমানে ফরিদপুরের সদরপুর মহিলা কলেজের প্রশাসন হিসেবে দায়িত্বে রয়েছি।

    স্থানীয় বাসিন্দা তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, পরিবারটি খুব অসহায়। মা খুব কষ্ট করে ছেলেটিকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। লালটু নিজেও অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে আজ বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন। এলাকার সুনাম বয়ে এনেছেন। তার এমন ফলাফলে এলাকার মানুষ আনন্দিত।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts

    অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও কোরিয়া যাচ্ছে পটুয়াখালীর মুগ ডাল

    May 25, 2025
    সোহেল

    প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই নিজ হাতে তৈরি বিমান উড়িয়ে তাক লাগালেন সোহেল

    May 19, 2025

    ঢাকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ‘পুনরুজ্জীবিত’ করতে চায় রোম

    May 5, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Sneha Paul

    Sneha Paul: The Chawl Sensation Who Set ULLU on Fire

    Lava Blaze AMOLED 5G

    Lava Blaze AMOLED 5G: বাজারে এলো ১৬ জিবি র‌্যামের সেরা স্মার্টফোন

    Tekka

    ছোটপর্দা থেকে দেবের নায়িকা হলেন জ্যোতির্ময়ী

    Apple iPhone 17 Pro Max

    Apple iPhone 17 Pro Max: Major Upgrade Confirmed Ahead of Launch

    Italy Visa

    শ্রমিক সংকট কমাতে ৫ লাখ কর্ম ভিসা দিচ্ছে ইতালি

    নামাজের সময়সূচি ২০২৫

    নামাজের সময়সূচি: ৭ জুলাই, ২০২৫

    আজকের টাকার রেট

    আজকের টাকার রেট: ৭ জুলাই, ২০২৫

    ২২ ক্যারেট সোনার দাম

    ২২ ক্যারেট সেনার দাম: বাংলাদেশে আজকে স্বর্ণের মূল্য কত?

    Google Pixel 10 Pro

    Google Pixel 10 Pro: The Ultimate Android Flagship Redefining Smartphone Innovation

    ‍Shuvoman Gill

    নতুন বিতর্কে ভারতীয় ক্রিকেটার শুভমান গিল!

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.