জুমবাংলা ডেস্ক: প্রাচীনকালে এক রতি সোনা মাপা হতো যে মাপন দিয়ে তার নাম কুঁচ বীজ। আমাদের দেশে এর আঞ্চলিক নামগুলো হচ্ছে: রতি, রত্তি, কুঁচ, কইচ গোটা। কুঁচের আরো যেসব নাম আছে সেগুলো হচ্ছে চূড়ামনি, শাঙ্গুষ্ঠা, গুঞ্জা, সৌম্যা, শিখন্ডী, কৃষ্ণলা, অরুণা, তাম্রিকা, রক্তিকা, কম্ভোজী, ভিল্লিভূষণা, মাণচূড়া। আর কুঁচের সাদা প্রজাতিটির নাম হচ্ছে শ্বেতগুঞ্জা, ভিরিন্টিকা, কাকাদনী।
আমরা কুঁচ বলতে যা বুঝি, তা মূলত এর বীজ। দুইজাতের কুঁচ দেখা যায় সাদা আর লাল। লাল কুঁচ বাংলায় সর্বাধিক পরিচিত। কুঁচ এর বীজ ডিম্বাকৃতির। রক্তকুঁচ এর একটা মেরুতে কালো ফোঁটা আছে, কালো ফোঁটা বাদে বাকিটুকু লাল। সাধারণভাবে লাল কুঁচকে রক্তকুঁচ এবং সাদা কুঁচকে শ্বেতকুঁচ বলে। কুচ বড় আশ্চর্য ফল। এর প্রতিটি বিঁচি সাধারণত একই মাপের এবং একই ওজনের। এজন্য প্রাচীনকালে ক্ষুদ্র জিনিস মাপার কাজে কুঁচ ব্যবহার করা হত। এখনো স্বর্ণকারের দোকানে সোনা-রুপা মাপতে কুঁচ এর ব্যবহার দেখা যায়। কুঁচ এর বীজ ভীষণ শক্ত। কুঁচ এর বীজ বিষাক্ত। বীজের ভেতরে অ্যাক্সিন নামের এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ থাকে। তাই সাবধানে কুচ ব্যবহার করা উচিত।
বহুবর্ষজীবী, ডান আবর্ত আরোহী। পাতা ৫-১০ সেমি লম্বা, অচূড় পক্ষল, পত্রক ১০-২০ জোড়া, প্রতিমুখ, ৭.৫ × ৩.৫ মিমি, গোড়া থেকে আকৃতি সামান্য বৃদ্ধিপ্রাপ্ত, রেখাকার বা রেখাকার-আয়তাকার, পাতলা ঝিল্লিময়, অখন্ড, উভয় প্রান্তে গোলাকার, উপরের তল মসৃণ, নিম্নতল হাল্কা-পাতলা রেশমি, উপপত্র রেখাকার, অস্থায়ী, পত্রবৃন্ত ১.২ সেমি পর্যন্ত লম্বা। পুষ্প রেসিমে, গুচ্ছাকার, ১.০-১.৩ সেমি লম্বা এক পার্শ্ব পত্রক অক্ষে সজ্জিত। বৃতি ২ মিমি লম্বা, হাল্কা রেশমি। দল গোলাপি বা সাদা। ফল ২.৫-৪.৫ × ১.১-১.৩ সেমি, রসস্ফীত, হালকা রোমশ, ধারালো চঞ্চুযুক্ত। বীজ ৩.৬ মিমি প্রশস্ত, ডিম্বাকার, ডিম্বক নাভীতে কালো দাগযুক্ত চকচকে লাল, খুব মসৃণ।
ফুল ও ফল ধারণ: জুলাই-সেপ্টেম্বর।
আবাসস্থল: বনের ঝোপঝাড়ে।
ব্যবহার: বীজ, মূল এবং পাতার খুবই ঔষধী গুরুত্ব রয়েছে।
বিস্তৃতি: বান্দরবান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটি।
বর্তমান অবস্থা: মাঝে মধ্যে পাওয়া যায়।
সূত্র: নেচার ইনফো
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।