আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির কুদস বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের গাড়িকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালালে নিহত হন তিনি।
সোলায়মানির নিহতের খবরে গোটা ইরান জুড়েই চলছে শোকের মাতম। শোকের পাশাপাশি ফুঁসে উঠেছে দেশটির জনগণ। শুক্রবার জুময়ার নামাজের পর মুসল্লিরা রাজধানী তেহরানে বিক্ষোভ করেছেন এবং রাজধানীর মসজিদ ও ধর্মীয় কেন্দ্রগুলোতে শোক সমাবেশ করেছে।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ইরনার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, খামেনির পর ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে বিবেচিত সোলাইমানির হত্যাকান্ডের পর তার বাড়িতে গিয়ে সান্ত¡না দেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। শুক্রবার রাতে বাড়িতে গিয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহত সোলাইমানির স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে দেখা করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, জেনারেল সোলাইমানি অনেকবার হত্যার মুখোমুখি হয়েছেন যে, যেকোনো সময় শহীদ হতে পারতেন। তিনি আল্লাহর পথে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো কিছুকেই পরোয়া করতেন না।
আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, জেনারেল সোলাইমানির জিহাদ ছিল অনেক বড় জিহাদ। আল্লাহ তাআলাও তাকে অনেক মর্যাদাপূর্ণ শাদাহাৎ দান করেছেন। এটি আল্লাহ তাআলার বড় নিয়ামত। তিনি এই নিয়ামতের যোগ্য ছিলেন। এর আগে সোলাইমানি হত্যার কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দেন খামেনি।
মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত সোলাইমানির মেয়েকে উদ্দেশ্য করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘তোমার বাবার জন্য গোটা জাতি কাঁদছে। এটা হয়েছে ইখলাসের কারণে। জনগণ তোমার বাবার মর্যাদা উপলব্ধি করেছে। তার মধ্যে ইখলাস ছিল বলেই আজ মানুষ এভাবে তার জন্য শোক পালন করছে।’
সর্বোচ্চ নেতা ছাড়াও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন। সূত্র: পার্স টুডে, সিএনএন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।