বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বিভিন্ন সোস্যাল প্লাটফর্মে ভুয়া ও মিথ্যা কনটেন্ট, তথ্য শেয়ার ও সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক মন্তব্য শেয়ারের অভিযোগে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতের কেন্দ্র সরকার। গতকাল দেশটির কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানান, বেশকিছু অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে মালিকদের বিরুদ্ধে। খবর পিটিআই।
ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে আপলোড হওয়া বহু পোস্ট-ভিডিওতে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, ভুয়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ আসছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের নামে একটি ভুয়া ভিডিও ঘুরছে সোস্যাল মিডিয়ায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর ঘৃণামূলক ভুয়া ভিডিও এবং হিন্দু নারীদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট সোস্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলোয় পোস্ট করা হতো।
শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এক টুইটে জানান, ইন্টারনেটকে সুরক্ষিত ও নির্ভরযোগ্য রাখতে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স সদাসচেষ্ট। টুইটার, ইউটিউব, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের যে হ্যান্ডেলগুলো থেকে ভুয়া, উসকানিমূলক তথ্য শেয়ার করেছে, সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে। মন্ত্রী আরো বলেছেন, ওইসব অ্যাকাউন্টধারীর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্রের খবর, ৭৩টি টুইটার হ্যান্ডেল, চারটি ইউটিউব কনটেন্ট ও একটি ইনস্টাগ্রাম গেমকে চিহ্নিত করেছে সরকার। এর আগে একটি বিকৃত ভিডিও নিয়ে গত শুক্রবার একটি মামলা করেছে দিল্লি পুলিশ। তাতে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে শিখদের বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।