বিনোদন ডেস্ক : বিশেষ দিনে সোহাগে-আদরে মাখা বিশেষ কোনো বার্তা এসেছে বিশেষ কারো থেকে? আনন্দবাজার অনলাইনের এমন প্রশ্নে শিল্পী অনুপম রায়ের জবাব, ‘জন্মদিনে মা-বাবা পাশে আছেন এখনও, অনেক বড় পাওনা এটা। আর বিশেষ কেউ, সোহাগ-আদর- এ সব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। বরং একটি বছর এগিয়ে গিয়ে ধৈর্য বাড়াচ্ছি, এটা বলতে পারি।’
২৯ মার্চ অনুপম রায়ের জন্মদিন ছিল। এদিন আনন্দবাজার অনলাইন শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করেছিল জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই শিল্পীকে। কল ধরেই অপরপ্রান্ত থেকে অনুপম জানালেন, তিনি দুপুরের খাবার খাচ্ছেন।
জন্মদিনে খাবারের তালিকায় কী কী রয়েছে জিজ্ঞাসা করা হলে তৃপ্তির আমেজ নিয়ে গায়কে বলেন,‘যা যা খেতে ভালবাসি, আজ নিজের হাতে মা সব কিছু রেঁধেছেন। ভাতের পাতে পাঁচ রকম ভাজা, তরকারি, চিংড়ি মাছের বিশেষ পদ আর পাঁঠার মাংস। চালের পায়েসও আছে। ওটা না হলে জন্মদিনের আর কী হল!’
এদিকে জন্মদিনের আগের দিন অর্থাৎ ২৮ মার্চ থেকেই ব্যস্ত অনুপম। এদিন তার দু-দুটো অনুষ্ঠান ছিল।
অনুপম বললেন, ‘পরিচালক-প্রযোজক নন্দিতা রায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বড় উপহার দিচ্ছেন জন্মদিনে। এদিন সন্ধ্যায় তাদের ‘বেলাশুরু’ ছবির প্রথম গান ‘সোহাগে আদরে’ মুক্তি পেতে চলেছে। আমার গান, আমার গাওয়া। শিবুদারা এ ভাবেই প্রশ্রয় দিয়ে আসছেন। গুছিয়ে ভালবাসতে জানেন।’
আবার এদিন সন্ধ্যায় ফকিরচাঁদ কলেজের ফেস্ট ছিল। সেখানে এক ঝাঁক পড়ুয়ার মধ্যে মঞ্চ দাপিয়েছেন তিনি। শিল্পীর দাবি, ‘গোটাটাই কাকতালীয়। আমার জন্মদিন। ওদের ফেস্ট। তবে এই প্রজন্মের ভিড়ে মিশে যেতে পারলে মনটা তাজা হয়ে যায়। বয়স যেন পিছু হাঁটে।’
ওই অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়ি ফিরতেই অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল অনুপমের। ক্লান্ত শরীরে ঘুমের দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। জন্মদিনের সকালে ঘুম ভেঙেছে ফোনের ডাকাডাকিতে। অজস্র শুভেচ্ছা। ফুলের তোড়ায়, উপহারে ঘর উপচে পড়েছে। সঙ্গে বন্ধুদের পাঠানো বঙ্গসন্তানকে ‘বিদেশি ব্রেকফাস্ট’। রসিকতার সুরে অনুপম বলেন, সকাল থেকে সই করে সব নিতে নিতেই বেলা কাবার!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।