আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংসারের অভাব দূর করতে কিশোরী উম্মে কুলসুমকে (১৪) সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছিল। বেতনের পরিবর্তে সে দেশের হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে কিশোরী কুলসুম। অবশেষে লাশ হয়ে দেশে ফিরল এই কিশোরী।
কুলসুম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। গত শুক্রবার রাত দেড়টা তার লাশ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও গত শনিবার দুপুরে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়।
গত মাসের ১৭ আগষ্ট জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে কিশোরীর বাবা মেয়ের লাশ ও আট মাসের বকেয়া বেতন ফেরত পেতে একটি লিখিত দেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় দালাল রাজ্জাক মিয়ার মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ১৭ মাস পূর্বে মেসার্স এম.এইচ.ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের (আর এল নং-১১৬৬) মাধ্যমে কুলসুমকে গৃহকর্মীর কাজে সৌদি আরব পাঠানো হয়।
সেখানে গৃহকর্মী হিসেবে যোগদানের পর থেকেই কুলসুমের উপর শারীরিক ও যৌন নির্যাতন শুরু করে মালিকপক্ষ। নির্যাতনের কারণে আমার মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায় নি। গত চার মাস পূর্বে গৃহকর্তা ও তার ছেলে মিলে কুলসুমের দুই হাঁটু, কোমর ও পা ভেঙে দেয়। এর কিছুদিন পর একটি চোখ নষ্ট করে রাস্তায় ফেলে দেয়।
পরে সৌদি আরবের পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কিং ফয়সাল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ৯ আগস্ট কুলসুম মারা যায়।
নিহতের মা অভিযোগ করেন, পুলিশের কাছে বারবার গিয়েও কোনো প্রতিকার পান নি।
নাসিরনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক কবির বলেন, প্রবাসীর লাশের খবর জানতে পেরেছি। তার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। কোনো অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।