স্পোর্টস ডেস্ক: রেকর্ড গড়া চুক্তিতে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে নাম লিখিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পেকে টপকে পর্তুগিজ সুপারস্টার বনে গেছেন বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড়। সৌদি ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তিটা করেছেন ৭ বছরের জন্য। প্রতি বছরে তার আয় হবে ২১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা ২ হাজার ২১০ কোটি ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা! তবে এসবই জানা খবর। নতুন খবর হলো, নতুন ক্লাবে খেলতে এরই মধ্যে সৌদি আরবে চলে এসেছেন ৩৭ বছর বয়সি রোনালদো।
না, একা নন, বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ ও সন্তানসহ সপরিবারেই সৌদিতে চলে এসেছেন তিনি। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ থেকে ব্যক্তিগত জেটে চেপে গতকাল সপরিবারে সৌদি আরবে পা রেখেছেন তারা। রিয়াদ বিমানবন্দরে নামার পরই তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সৌদি আরবে তারা থাকবেন আট বেডরুমের বিলাসবহুল বাড়িতে। বাড়ি না বলে রাজপ্রাসাদও বলা যেতে পারে। কী নেই রাজধানী রিয়াদের সবচেয়ে অভিজাত এলাকা ‘আল মোহাম্মদিয়ার’ বাড়িটিতে!
আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ বাড়িতে রয়েছে সুইমিংপুল। বাড়িটির কম্পাউন্ডেই আছে জিম, ক্লিনিক, শপিংমল। বাড়িটির কাছেই রয়েছে সৌদি আরবের একাধিক সেরা রেস্তোরাঁ। রয়েছে নাইট ক্লাবও। মন চাইলেই পর্তুগিজ তারকা বান্ধবী-সন্তানদের নিয়ে খেতে যেতে পারবেন রেস্তোরাঁয়, ঢু মেরে আসতে পারবেন নাইট ক্লাবে। বাড়িটি থেকে ক্লাব আল নাসেরের স্টেডিয়ামও খুব কাছে। পা হাঁটা দূরত্বের মধ্যেই রয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক স্কুল।
কাজেই সন্তানদের স্কুলে যাওয়া-আসা, পড়াশোনার বিষয়ে রোনালদোকে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। তপ্ত মরুভূমিতেও রোনালদো তার পরিবার যাতে ইউরোপের আদলে জীবন কাটাতে পারেন, সেই ব্যবস্থাই করেছে সৌদি আরব। উচ্চমাত্রার তাপমাত্রার হাত থেকে বাঁচতে বাড়িটির চারপাশে বড় বড় আকৃতির পাম গাছ লাগানো হয়েছে। মানে রোনালদোকে আরামে রাখার সব ব্যবস্থাই করেছে ক্লাব আল নাসের। জানা গেছে, রোনালদোকে সুখে রাখার এসব পরিকল্পনাই নাকি এসেছে সৌদি আরবের বর্তমান রাজপুত্র ও প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমানের মাথা থেকে।
রোনালদোর আগমন উপলক্ষে রাজধানী রিয়াদ যেন নতুন সাজে সেজেছে। রাস্তায় রাস্তায় রোনালদোর ছবি, পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুনে ভরে গেছে। আল নাসেরের জার্সির সঙ্গে মিল রেখে সড়কে সড়কে লাগানো হয়েছে হলুদবাতি। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মানে পাঁচ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী রোনালদোকে ঘিরে রিয়াদ এখন উৎসবের নগরী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।