স্কুলে বাচ্চাদের যা শেখানো হয় তার সবকিছুই প্রয়োজনীয় নয় এবং বাস্তবে তেমন গুরুত্ব রাখে না। আজকের আর্টিকেলে এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে যা স্কুলের সিলেবাস থেকে বাদ দিলে কোন ক্ষতি হবে না।
এমন কোন ড্রাগের নাম বলা এবং এসব নিয়ে আলোচনা করা যেটার বাস্তব অস্তিত্ব নিয়ে বাচ্চারা তেমন জ্ঞান রাখে না। স্কুলে সেক্স ও ড্রাগ এডুকেশন নিয়ে পড়ানো হয়। পুরো বিষয়টি সারমর্ম হচ্ছে যৌনতা এবং মাদক থেকে দূরে থাকা। সমস্যা হচ্ছে স্কুলের বাচ্চারা এসব বিষয়ে পুরোপুরি বুঝতে পারে না। তারা বয়সে আরেকটু বড় হলে তখন এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে তা ফল দিবে।
ইতিহাসের ক্লাসে পূর্বের সাম্রাজ্যবাদ এবং নানা যুদ্ধ নিয়ে অনেক বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এদের অধিকাংশ বিষয় ঘুরেফিরে একই এবং রাষ্ট্রের সীমানার বাইরে অন্য দেশ ও অন্য সাম্রাজ্য নিয়ে আলোচনা করা হয় যেটার আমাদের দেশের অভ্যন্তরে বাস্তব গুরুত্ব নেই।
অনেক কিছু মুখস্থ করতে হয় যার তেমন গুরুত্ব নেই। যেমন পশু-পাখির গ্রুপ, তাদের বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি। ইতিহাসের ক্ষেত্রে অনেক তারিখ, মানুষের নাম এবং সংখ্যা মুখস্থ করতে হয় এবং এগুলোর আবার টেস্ট দিতে হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নানা ঘটনা এবং জার্মানিকে তিরস্কার করা ও হিটলার এর কর্মকান্ড এসব বিষয় একটা সময় বাচ্চাদের বিরক্ত লাগে।
পরিবারের সাথে মিলেমিশে থাকার বিষয়ে বারবার পাঠদান করা হয়। খাতায় শব্দ এবং বাক্য লেখার নিয়ম কানুন এবং বিরাম চিহ্নের ব্যবহার নিয়ে বারবার বাচ্চাদের বলা হয়। উদাহরণ হিসেবে বিরাম চিহ্নের পরে ডাবল স্পেস কোথায় হবে এ বিষয়ে অতিরিক্ত আলোচনা হয়।
ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনা যেভাবে পড়ানো হয় তা মূলত অর্থহীন। প্রসঙ্গ ও বাস্তব আলোচোনা ছাড়াই তারিখ এবং নানা ঘটনা দীর্ঘক্ষণ ধরে পড়ানো হয় যার বেশিরভাগই তুচ্ছ বিষয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।