অবশেষে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে ফরিদপুরের নিষিদ্ধ পল্লীর যৌনকর্মীর সন্তানেরা। তাদের মাঝে দেয়া শুরু হয়েছে জন্মনিবন্ধন বা জন্মসনদ। যা দিয়ে বঞ্চিত এসব শিশুরা যেতে পারবে স্কুলে, পড়তে হবে না কোনো দাপ্তরিক জটিলতায়।
গত শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুর পৌরসভার হলরুমে শাপলা মহিলা সংস্থার উদ্যোগে প্রথম পর্যায়ে ফরিদপুরের রথখোলা ও সিএন্ডবি ঘাটের দুটি যোনপল্লীর ৩৫ জন শিশু ও যৌনকর্মীকে এ জন্মসনদ দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
ফরিদপুরের শাপলা মহিলা সংস্থা জানায়, পল্লী দুটিতে ৩শ’ ৮৯ জন যৌনকর্মী রয়েছে। আর তাদের শিশু সন্তান রয়েছে ২শ’ ৯৬ জন। এদের মধ্যে অনেকেরই জন্ম নিবন্ধন করতে না পারায় স্কুলে ভর্তি জটিলতায় ভুগছিল। যৌনকর্মীর সন্তানদের আবাসিকের পাশাপাশি পড়ালেখার সুবিধা দিয়ে আসছে শাপলা মহিলা সংস্থা। শহরতলীর গেরদায় শিশুদের আবাসনের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ভবন। বর্তমানে সেখানে ৫০ জন ছাত্রী ও ৩৫ জন ছাত্র রয়েছে।
জন্মসনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্টরা জানান, দি ফ্রিডম ফান্ড’র সহযোগিতায় এসব শিশু ও যৌনকর্মীদের জন্মসনদ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে সংস্থাটি। সেই ধারাবাহিকতায় বাবার নাম পরিচয় ছাড়াই বিশেষভাবে এই জন্মসনদ তৈরি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। যা ফরিদপুর পৌরসভার মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, এই জন্মসনদের মাধ্যমে এই বিশেষ শিশুরা সকল নাগরিক সুবিধা ভোগ করবে। এছাড়া তাদের সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও পৌর প্রশাসক মো. সোহরাব হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, দ্যা ফ্রিডম ফান্ড’র বাংলাদেশের প্রতিনিধি খালেদা আক্তার, শাপলা মহিলা সংস্থার উপ-নির্বাহী পরিচালক শ্যামল প্রকাশ অধিকারী প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।