বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: টুইটারের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে পদত্যাগ করার কয়েক দিনের মধ্যেই জ্যাক ডরসির আরেক কোম্পানি ‘স্কয়ার’-এর করপোরেট নাম হলো ‘ব্লক’। এই ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানির মালিকানা এবং পরিচালনায় সরাসরি জড়িত আছেন জ্যাক ডরসি। এর মধ্য দিয়ে ফেসবুককে অনুসরণ করল স্কয়ার। ‘ব্লক’-এর মালিকানাধীন ‘স্কয়ার’ এবং মিউজিক-স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘টাইডাল’-এর নাম পরিবর্তন হচ্ছে না।
জ্যাক ডরসির টুইটারের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে পদত্যাগের পর এই পরিবর্তনটি অনেকের চোখে লাগলেও স্কয়ার নিজেদের এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছে, ‘এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছিলাম। এ পরিবর্তন শুধু আমাদের দাপ্তরিক করপোরেট নামের পরিবর্তন। এ পরিবর্তন কোনোভাবেই আমাদের উদ্দেশ্য, দৃষ্টিভঙ্গি, কাঠামো বা আমরা কিভাবে কাজ করি তার প্রতিনিধিত্ব করে না।’
কয়েকদিন আগেই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন জ্যাক ডরসি। তার জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন টুইটারের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগারওয়াল।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) টুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিইও পদে না থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির বোর্ডে থাকবেন ডরসি। ২০২২ সাল পর্যন্ত কাজের মেয়াদ অনুযায়ী বোর্ডে থাকবেন তিনি।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর টুইটার ও পেমেন্ট কোম্পানি স্কয়ারের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ডরসি। এক বার্তায় তিনি জানান, দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য এটিই উপযুক্ত সময়। নতুন প্রধান আগারওয়াল প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রস্তুত বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন তিনি। দুইটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় টুইটার নিজের লক্ষ্য থেকে সরে যাচ্ছিল বলে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ডরসি।
গত জুন মাসে এক সম্মেলনে জ্যাক ডরসি বলেছিলেন, যদি স্কয়ার বা টুইটারে না থাকতাম, তবে বিটকয়েন নিয়ে কাজ করতাম আমি। ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে শুরু করে ইয়োগা, এমনকি ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে আগ্রহের কারণে প্রযুক্তি শিল্পের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যতিক্রমী ডরসি। দ্বিতীয়বারের মতো টুইটার অধ্যায়ের ইতি টেনে ডরসি এখন স্কয়ার ইনকরপোরেটেড আর দাতব্য কর্মকাণ্ডে মনোযোগ দিতে চান বলে শোনা যাচ্ছে।
বড় পরিসরে চিন্তা করলে ডরসির পরিকল্পনার মূলে রয়েছে ‘বিকেন্দ্রীকরণ’ নীতি। এই ‘বিকেন্দ্রীকরণ’ নীতির মূল বার্তা হচ্ছে, প্রযুক্তি এবং অর্থনীতির লাগাম হাতেগোনা কয়েকজনের নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত নয়; বরং ব্যবস্থাপনারও নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী অথবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাতে। স্কয়ারে এই বিকেন্দ্রীকরণ চিন্তার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন ডরসি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিটকয়েনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একাধিক প্রকল্প পরিচালনার পাশাপাশি অনুদান দিয়ে অন্যদের সহযোগিতা করছে স্কয়ারের একটি বিভাগ।
সূত্র : বিবিসি।
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সর্বোচ্চ যতো লাখ টাকা দেবে ফেসবুক বা মেটা
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.