উদ্যোক্তা হওয়ার পথ যতই চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যে ভরা হোক না কেন, অনেক সময় তা রূপ নেয় নাটকীয় ঘটনায়। এমনই কিছু ঘটনা রয়েছে যেখানে প্রতিষ্ঠিত বেশ কয়েকজন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা নিজেদের গড়া প্রতিষ্ঠান থেকেই বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। স্টিভ জবস, স্যাম অল্টম্যান, জ্যাক ডরসিসহ অনেক প্রযুক্তি উদ্যোক্তাকেই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কৃত হওয়া কয়েকজন প্রযুক্তি উদ্যোক্তার তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
১৯৭৬ সালে অ্যাপল প্রতিষ্ঠা করেন স্টিভ জবস। কিন্তু ১৯৮৫ সালে অ্যাপলের পরিচালনা বোর্ডের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে বহিষ্কৃত হন তিনি। জবসের কঠোর ব্যবস্থাপনা শৈলী ও ভিন্ন ধারার দৃষ্টিভঙ্গি বোর্ডের সদস্যদের অসন্তুষ্ট করেছিল। তবে ১৯৯৭ সালে তিনি অ্যাপলে ফিরে এসে আইফোন, আইপ্যাড ও ম্যাকবুকের মতো পণ্য তৈরিতে নেতৃত্ব দেন, যা অ্যাপলকে প্রযুক্তিশিল্পে শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
উবারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ট্র্যাভিস কালানিক। ২০১৭ সালে কর্মক্ষেত্রে অসন্তোষ ও নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের চাপে উবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে উবার বিশ্বব্যাপী রাইড শেয়ারিং শিল্পে আধিপত্য বিস্তার করলেও অভ্যন্তরীণ নানা বিতর্কের কারণে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।
২০২৩ সালে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যানকে কৌশলগত মতবিরোধের কারণে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে সরিয়ে দেয় পরিচালনা বোর্ড। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি আবার ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ফিরে আসেন। এ ঘটনাকে করপোরেট নেতৃত্ব ও বোর্ডের সঙ্গে প্রতিষ্ঠাতাদের জটিল সম্পর্কের অনন্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
খুদে ব্লগ লেখার সাইট টুইটারের (বর্তমানে এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি ২০০৮ সালে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে অপসারিত হন। তবে ২০১৫ সালে তিনি আবার টুইটারের নেতৃত্বে ফিরে এসে প্ল্যাটফর্মটির নতুন আয়ের মডেল ও ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা চালু করেন।
ফ্লিপকার্টের প্রতিষ্ঠাতা শচীন বানসাল ও বিনি বানসাল ভারতের ই-কমার্স বিপ্লবের পথিকৃৎ। ২০১৮ সালে ওয়ালমার্ট ফ্লিপকার্ট অধিগ্রহণ করলে শচীন বানসাল সরে দাঁড়ান। একই বছর অভিযোগের মুখে বিনি বানসাল পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তাঁদের প্রস্থান সত্ত্বেও ফ্লিপকার্ট আজও ভারতের বাজারে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।