জুমবাংলা ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে সিঁধ কেটে জুনায়েদ নামের আড়াই মাস বয়সী শিশু চুরি হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত নারীসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১০ জুন) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের নীলগঞ্জের বেত্রাহাটি এলাকা থেকে তাড়াইল থানা পুলিশ ও জেলা ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে চুরি যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোররাতে তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের শাহবাগ পাঁচপাড়া গ্রামের নানাবাড়ি থেকে জুনায়েদ নামের আড়াই মাস বয়সী শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ ও তাড়াইল থানা পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযানে নামে। পরে সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের বেত্রাহাটি গ্রামের রুবেল মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত রুবেল ও তার শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
পুলিশ সুপার বলেন, আটককৃত রুবেলের স্ত্রী খাদিজার চারটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদের কোন ছেলে সন্তান নেই। রোববার একটি হাসপাতালে রুবেলের স্ত্রীর খাদিজা আরও একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তাই পুত্র সন্তান না থাকায় রুবেল সিঁধ কেটে ওই ছেলে শিশুটিকে চুরির পরিকল্পনা করেন।
রুবেলের শ্বশুর বাড়ি এবং চুরি হওয়া শিশু জুনায়েদের মায়ের বাড়ি একই এলাকায়। চতুর্থ বারের মতো রুবেলের স্ত্রীর গর্ভে কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় স্ত্রীকে খুশি করতে শ্বাশুড়ির সঙ্গে পরামর্শ করে জুনায়েদকে চুরি করার সিদ্ধান্ত নেন রুবেল। জুনায়েদকে চুরি করার পর স্ত্রী খাদিজা একই সঙ্গে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দেন বলে এলাকায় প্রচার শুরু করেন। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে রুবেলের বাড়িতে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে শিশু চুরির আসল ঘটনা।
এ দিকে শিশুটিকে উদ্ধারের পর তার মা সানজিদা আক্তার নাজনীনের কোলে তুলে দেন পুলিশ সুপার। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।