জুমবাংলা ডেস্ক : স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে যশোরের অভয়নগরে স্বামী কলেজশিক্ষক মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হোমায়রা বেগম। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। মোশাররফ হোসেন নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক। তিনি খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার কয়রা গ্রামের মুছাদ্দেক হোসেনের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী বলেন, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর কলেজশিক্ষক মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে ২০১৪ সালে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমার স্বামী মোশাররফ হোসেন যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন। প্রথম পর্যায়ে দেড় লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেল, দ্বিতীয় পর্যায়ে মৎস্য ঘেরের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দেয়া হয়। পরবর্তীতে আরও টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। টাকা দিতে না চাইলে শুরু করেন শারীরিক নির্যাতন।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমাদের ঘরে জন্ম নেয় একটি কন্যাসন্তান। নাম রাখা হয়েছে মেহেরুন জান্নাত। যার বর্তমান বয়স ১৫ মাস। নারী ও যৌতুকলোভী এমডি মোশাররফ হোসেন নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের গণিতের প্রভাষক। নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে তিনি ২০১৯ সালে খুলনা দাকোপ থানার সাদেক গাজীর মেয়ে সাথী আক্তারকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর আমার ওপর নতুনমাত্রায় যোগ করেন অমানুষিক নির্যাতন। বন্ধ করে দেয় সংসারের ভরণপোষণসহ যাবতীয় খরচাদি।
হোমায়রা বেগম বলেন, স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে দ্বারস্থ হই নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র ও নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের কাছে। কোনো সমাধান না পেয়ে গত ১৫ নভেম্বর অভয়নগর থানা এবং ১৭ নভেম্বর খালিশপুর থানায় পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- হোমায়রা বেগমের বোন বৈশাখী খাতুন, ভাই বাবলু খান, জুয়েল রানা, অনিক ইসলাম ও একমাত্র কন্যাসন্তান মেহেরুন জান্নাত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।