আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার করে সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ছাড়েন ফিলিপস। তিন বছর ধরে তাদের কোনো খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে জানা গেল, সন্তানদের নিয়ে বনে-বাদাড়ে ক্যাম্পিং করে বেড়াচ্ছেন তিনি। এক সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টাও করেছেন। সিনেমার গল্পের মতো এমন ঘটনা ঘটেছে নিউজিল্যান্ডে। তবে এখনও ফিলিপস ও তার শিশু সন্তানদের নিজেদের হেফাজতে নিতে পারেনি পুলিশ।
গতকাল বুধবার (৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডে টম ফিলিপস নামে এক বাবা তার দুই কন্যা ও এক পুত্রকে নিয়ে তিন বছর আগে নিখোঁজ হন। আট বছরের মেয়ে এমবার, তার চেয়ে এক বছরের বড় ভাই ম্যাভেরিক এবং তাদের ১১ বছর বয়সী বোন জায়দাকে সহ নিখোঁজ টমকে নিউজিল্যান্ডের বিস্তৃত একটি প্রান্তরে দেখা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সন্তানদের নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন ফিলিপস। কর্তৃপক্ষ ধারণা করেছিল, তারা নিউজিল্যান্ডে উত্তর অংশের পশ্চিম ওয়াইকাটো অঞ্চলের বনে-বাদাড়ে ক্যাম্পিং করেছেন।
এর মধ্যে ওই অঞ্চলেই গত সপ্তাহে শূকর শিকারিদের একটি দল ফিলিপস এবং সন্তানদের মুখোমুখি হয়েছিল বলে দাবি করেছে। শিকারিরা ফিলিপসের তিন সন্তানের মধ্যে অন্তত একজনের সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হয়। সে তাদের জানায়, শূকর শিকারিরা ছাড়া তাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে আর কেউই জানে না।
প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, টম ফিলিপস সশস্ত্র ছিলেন। তাঁর মুখভর্তি লম্বা দাঁড়ি। আর তাঁর সন্তানদের মুখে ছিল মুখোশ। তারা তাদের নিজস্ব ব্যাগ বহন করছিল।
নিউজিল্যান্ড পুলিশ শূকর শিকারিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যকে বিশ্বাসযোগ্য এবং উৎসাহজনক হিসেবে বর্ণনা করেছে। এর আগে একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, গত বছর ওয়াইকাটো অঞ্চলের ওয়াইমোটো জেলায় এক সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে একটি দোকান লুটের চেষ্টা করেন ফিলিপস। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে মুখোশ পরা অবস্থায় দেখা গেলেও কর্তৃপক্ষ ফিলিপসকেই সন্দেহ করেছিল। পরবর্তীতে পুলিশ এবং সামরিক হেলিকপ্টারগুলো ব্যবহার করে টানা তিন দিন ধরে চারজনের ওই দলটির অনুসন্ধান করেও কোনো লাভ হয়নি।
একটি অস্পষ্ট ছবিতে বাচ্চাদের সুস্থ দেখাচ্ছে বলে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তাদের মা কেট। তবে সন্তানদের নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করানোর জন্য ফিলিপসের সমালোচনা করেছেন তিনি। নিখোঁজ স্বামী ও সন্তানদের খুঁজে বের করতে কর্তৃপক্ষকে আরও ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান কেট।
গত জুনে নিখোঁজদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে ও তাদের বিষয়ে তথ্যের জন্য ৮০ হাজার নিউজিল্যান্ডের ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ। যদিও সেই পুরস্কারের মেয়াদ এখন শেষ হয়ে গেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পালিয়ে থাকা অবস্থায় ওই শিশুরা বাইরের দুনিয়ার কারও সঙ্গেই কোনো যোগাযোগ করেনি। এই সময়ের মধ্যে তারা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও গ্রহণ করেনি। পুলিশ ধারণা করছে, ইতিপূর্বে ব্যাংক ডাকাতিরও চেষ্টা করেছিলেন ফিলিপস এবং তিনি হয়তো এখন সশস্ত্র অবস্থায় আছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।