
জুমবাংলা ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের জনসমাগমও স্থগিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২১ মার্চ) সকালে রাজধানীর সিটি কলেজ কেন্দ্রে ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটা দেওয়া শেষে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষির্কীর অনেক অনুষ্ঠান বাতিল করেছি এবং এর মধ্য দিয়ে আপনারা বুঝতেই পারছেন যে আমরা জনগণের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের প্রতি কতটা গুরুত্ব দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, সরকার জনগণকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে এক স্থানে কয়েকজনের সমাগমকে নিষিদ্ধ করেছে। করোনাভাইরাস রুখতে আমরা অন্যান্য জনসমাগমের অনুষ্ঠানও বাতিল করবো।’
স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার কর্মসূচি বাতিলের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে আলোচনা করবো। আমরা মনে হয় সেটাও আমাদের স্থগিত রাখতে হবে ‘
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি আমরা নিজের মতো করে শ্রদ্ধা জানাবো’
তিনি বলেন, ‘এভাবে আমাদের যতগুলো অনুষ্ঠান আছে তা খুব সীমিত আকারে, আর যেখানে জনমাগম হবে তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে করা এই সংক্রামক সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে না পড়ে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘চীনে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পরার পরপরই আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা তখন চীন থেকে ৩১৫ জন শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনি এবং কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন রাখার পর তাদের ছেড়ে দেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরগুলোতে বিদেশ থেকে আগতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যদি কাউকে এই ভাইরাসে সংক্রমণ বলে সন্দেহ করা হয়, তবে তাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, যারা বিদেশ থেকে দেশে ফিরছেন তাদেরকে তাদের পরিবারের সদস্য ও অন্যান্যদের নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই অন্তত ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইইডিসিআর সতর্ক আছে এবং দেশে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এই সব পদক্ষেপ নিচ্ছি যাতে মানুষ সতর্ক থাকে এবং এ ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ভাল।’
সরকার প্রধান বলেন, সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের জন্য বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চিকিৎসক ও নার্সসহ হাসপাতালগুলোতে কর্মরত অন্যান্যদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চিকিৎসক ও নার্সদের মাস্ক ও পার্সনাল প্রোটেক্টিভ ইকুয়েপমেন্ট (পিপিই) আমদানি ও তৈরি করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার টেলিভিশন, বেতার ও অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রাণঘাতী ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করতে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি দেশবাসী সরকারের নির্দেশনা মেনে চলবেন।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।