স্থান কী?
একটা কাল্পনিক পরিমাপ সহায়ক?
ব্যাপারটা এভাবেও ভাবতে পারেন। স্থান বলে আসলে বস্তবে কিছু নেই। তবে এ ধারণায় অবশ্য পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। আমরা দেখি, কেন স্থানকে কাল্পনিক বলা হচ্ছে।
ধরুন মহাশূন্যের কোথাও কিছু নেই। চরাচর জুড়ে শূন্যতা। সেখানি আপনি স্পেসস্যুট পরে দাড়িয়ে আছেন। যেখানে মহাকর্ষ বলের প্রভাব নেই, আশপাশে কোনো গ্রহ-উপগ্রহ নেই, সেই মহাশূন্যে আপনার দাঁড়িয়ে থাকতেও সমস্যা নেই।
কিন্তু সেখানে কি স্থান আছে?
স্থান বলতে আমরা আসলে কী বুঝি?
ধরা, যাক একটা বাক্স। সেই বাক্সের আয়তন ১ ঘন মিটার। মহাশূন্যে যদি বাক্সটা থাকে আপনার সঙ্গে, তাহলে আপনি বলতে পারবেন, এখানে একটা ১ ঘনমিটারের স্থান আছে। আপনি তখন বলতেই পারেন আপনার প্রিয় বিড়ালটা সেই ১ ঘন মিটার জায়গার ভেতরেই রয়েছে।
গোটা মহাবিশ্বকে আমরা তেমন একটা বিশাল মহাজাগতিক স্থান মনে করি। আর সেই স্থানের ভেতর সব গ্যালাক্সি, গ্রহ, উপগ্রহ, ব্ল্যাকহোল, নক্ষত্র—ইত্যাদি। কিন্তু সেই স্থানের কিন্তু বাক্সের মতো ছয়টি দেয়াল নেই। হয়তো বা মহাবিশ্বের প্রান্ত আছে। কিন্তু সেই প্রান্তও কি বিশেষ কিছু দিয়ে তৈরি—ব্যাপারটা ভাবাও কঠিন।
মোদ্দাকথা হলো, স্থান এমন এক কাল্পনিক বস্তু, যা দেখা যায় না, কিন্তু বস্তুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা পরিমাপে সহায়ক। এমনকী বস্তুর অবস্থান নির্দিষ্ট করতেও স্থানের প্রয়োজন। সেই হিসেবে, গোটা মহাবিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে আছে স্থানের চাদর।
যার একেকটি অংশ, একটি ছোট ছোট স্থান হিসেবে দেখা হয়। যেমন, মহাবিশ্বের ভেতরের এক স্থানে রয়েছে মিল্কিওয়ে নামে একটা গ্যালাক্সি। আর সেই গ্যালাক্সির ভেতর একটি বিশেষ স্থানে সূর্য নামের নক্ষত্রটি তার বিশাল পরিবার নিয়ে অবস্থান করছে। অবশ্য স্থির নয়, সদা ছুটছে-ঘুরছে।
সূত্র: নিউ সায়েন্টিস্ট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।