বিনোদন ডেস্ক: বিশ্বকাপে আমার পছন্দের টিম স্পেন। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন স্পেন যেবার বিশ্বকাপ জিতল আমি বোধহয় তখন থেকে স্পেনের সাপোর্টার। তা নয়। ছোটবেলা থেকেই সাপোর্ট করি। প্রিয় দলের জন্য সে জায়গাটা থাকবে। কিন্তু বেশি উন্মাদনা থাকবে কোন টিম নিয়ে এভাবে আমি ভাবি না। কারণ আমার সব সময় আন্ডারডগ টিম ভালো লাগে। যে টিমগুলো একটু উইক থাকে কিন্তু ভালো খেলে তাদের খেলা আমার ভালো লাগে। আমি তাদের সাপোর্ট করতে চাই।
বিশ্বকাপ এলে আমি সবচেয়ে বেশি মিস করি আমার জন্মস্থান শাহজাহানপুরের স্মৃতি। আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন অন্যরকম একটা আবহ তৈরি হতো ফুটবল বিশ্বকাপ ঘিরে। বিল্ডিংয়ের সবাই একটা বাসায় জড়ো হতাম। সবার বাসায় টিভি থাকা সত্ত্বেও এক রুমে একসঙ্গে খেলা দেখার আনন্দ অন্যরকম।
আমার আরেকটা স্মৃতি হলো আমরা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম তখন হলে খেলা দেখার ব্যবস্থা হতো। ওটা আবার অন্যরকম, এক অন্য ধরনের উন্মাদনা। ছোটবেলার অনুভূতি এবং বড় হয়ে হলে খেলা দেখার অনুভূতি আমার স্মৃতিতে অক্ষয় হয়ে থাকবে।
আগেই বলেছি, আন্ডারডগ টিমের প্রতি আমার দুর্বলতার কথা। এ কারণে বাজি ধরতাম। বহুবার বাজি ধরে জিতেছি, আবার হেরেছিও। তবে খেলা নিয়ে কখনও মারামারি করিনি। কোনো কারণে যদি আমার বন্ধুর টিম জিতে যায় তা হলেও সেলিব্রেশন দেখতে আমার খারাপ লাগে না।
ছোটবেলায় ফুটবল খেলেছি। তবে ক্রিকেট অনেক বেশি খেলেছি। তবে এবার ‘দামাল’ সিনেমার জন্য আমাদের অনেক দিন মাঠে খেলতে হয়েছে। এটাও আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ‘দামাল’ সিনেমার কিছু মোমেন্ট আমাকে টাচ করেছে। প্রথমবার বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে মাঠে ঢোকা- এটা একটা মুহূর্ত। প্রথমবার জাতীয় সংগীত বাজছে আর আমরা বুকে হাত দিয়ে গলা মেলাচ্ছি। ছোটবেলায় যখন খেলোয়াড় হতে চাইতাম বা ইচ্ছে হতো তখন এই দৃশ্যটা চোখের সামনে ভাসতো। বুকে হাত দিয়ে দলের সবাই একসঙ্গে জাতীয় সংগীত গাইছি- চমৎকার দৃশ্য! আমার মনে হয় প্রত্যেক খেলোয়াড়ের এ সময় অনন্য এক অনুভূতি হয়। ‘দামাল’ করতে গিয়ে সেই অনুভূতিটা আমরা পেয়েছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।