আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যেমন একটি শহরের কথা মানুষ শুধু কল্পনাই করতে পারে কিংবা সাইন্স ফিকশনে দেখা যায়, তেমনই ‘স্বপ্নের মতো’ শহর গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। বিস্ময়কর এই শহরে মানুষের জীবনযাত্রার মান হবে অত্যাধুনিক। শহরটির থাকবে নিজস্ব চাঁদ, যা থেকে ইচ্ছা অনুযায়ী আলো নামিয়ে আনা যাবে। থাকবে নিজস্ব মেঘ, প্রয়োজনে সেখান থেকে বৃষ্টি ঝরবে।
দ্য সান-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জর্ডান ও মিশরের সীমান্তে শহরটির জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। হলিউডের সায়েন্স ফিকশন ছবির মতো এই শহরের নাম- NEOM। শহরের পরিষেবা দেবে রোবট, বাতাসে চলবে গাড়ি। রাস্তায় পাওয়া যাবে উড়ন্ত ট্যাক্সি। শহরটিকে সারা বিশ্বের জন্য রোবটিক্সের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
এত যখন সুযোগ-সুবিধা, তখন পাঠক হয়তো শহরটিকে খুব ছোট আকারের কিছু ভাবছেন। এখানেও রয়েছে চমক। শহরটির আয়তন লন্ডনের প্রায় ১৭ গুণ বড়। এটি তৈরিতে প্রাথমিকভাবে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বাজেট ধরা হয়েছে। শহরটির চেয়ারম্যান হবেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এটিকে তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রমোদ কেন্দ্র বানাতে চান।
ইতোমধ্যে বিশ্বসেরা সংশ্লিষ্ট একাধিক পেশাদারকে ডেকে পাঠিয়েছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অর্থ কোনো সমস্যা নয়। কল্পনার এই শহর বাস্তবে নিয়ে আসতে জলের মতো টাকা ঢালতে চান তিনি। জগতে এটি হতে হবে ‘অদ্বিতীয়’। ২০২৫ সালের মধ্যেই এই শহরে মানুষ বসবাস করা শুরু করবে, তেমন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বপ্নের এই নগরী তৈরিতে বাধার সম্মুখীনও হতে পারে সৌদি আরব। উড়ন্ত গাড়ি, কৃত্রিম চাঁদ ও মেঘসহ যেসব প্রযুক্তির কথা বলা হচ্ছে, মানুষের জন্য সেগুলো সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা। সেক্ষেত্রে এগুলো কতটা নিরাপদ হবে, সেটা চিন্তার বিষয়। তাছাড়া পশ্চিমা বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রেও তৈরি হতে পারে বিড়ম্বনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।