আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের রক্ষণশীল দেশগুলোতে নারীদের স্বল্প পোশাক পড়ার ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আধুনিক দেশগুলো এক্ষেত্রে নারীদের বেশ স্বাধীনতা দিয়ে থাকে। কিন্তু এর পরও স্বল্প পোশাকের কারণে এক তরুণীকে বিমানে ওঠায় বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার মত আধুনিক দেশে।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সবাই অবাক হয়েছেন। দেশটির প্রথম সারির বিমান সংস্থার বিমানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
ওই তরুণীর নাম ক্যাথরিন বাম্পটন। অ্যাডিলেড থেকে গোল্ড কোস্ট যাওয়ার জন্য বিমানসংস্থা ভার্জিন অস্ট্রেলিয়ার একটি টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বিমানে ওঠার সময় বাধা দেয়া হয় তাকে।
বিমানসেবিকারা তাকে জানান, ক্যাথরিনের স্বল্প পোশাকে বিমানচালকের আপত্তি রয়েছে। তাই তিনি যেন নিজের পোশাক বদলে তবেই বিমানে চড়েন।
এমন আচরণে অবাক হন ওই ক্যাথরিন। এমন অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার ঘটনাটি পরবর্তীতে তিনি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে গোটা বিষয়টি খুলে বলেন।
ক্যাথরিন বলেন, ‘ওই সময় উপস্থিত যাত্রীদের সামনেই আমাকে পোশাক পরিবর্তনের কথা বলেন বিমানসেবিকা। যা আমাকে বিড়াম্বনায় ফেলে দেয়। আমাকে বলা হয়, এই পোশাকে শরীরের অনেকটা অংশ দেখা যাচ্ছে, যা বিমানচালকের পছন্দ নয়। ওই সময় সবাই আমাকেই দেখছিল। যা খুবই অস্বস্তিকর ছিল আমার জন্য।’
জানা গেছে, এ থেকে রেহাই পেতে একটি জ্যাকেট পরে ফেলেন ক্যাথরিন। তারপরই বিমানে চড়ার অনুমতি মেলে ওই তরুণীর। এই ঘটনা জানতে পেরে অবাক ভার্জিন অষ্ট্রেলিয়া নামে ওই বিমানসংস্থার কর্মকর্তারা। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
সংস্থার মুখপাত্র জানান, ‘ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া দেশটির জনপ্রিয় এয়ারলাইন্স। আমরা যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়ে যথেষ্ট খেয়াল রাখি। ওই যুবতী সরকারিভাবে এই ঘটনা নিয়ে কোনো অভিযোগ জানাননি। তবে আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তবে ঘটনাটি ফাঁস হতেই অনেকেই ওই বিমানসংস্থার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।
সূত্র: ডেইলি মেইল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।