জুমবাংলা ডেস্ক : স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি ইকবাল আর্সলান ফেসবুকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পরিবর্তন প্রসঙ্গে আজ (শনিবার) একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এই স্ট্যাটাসটি নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এই স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে বিএমএ এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ আগামীকাল জরুরি বৈঠক ডেকেছে।
স্ট্যাটাসে লেখা হয়েছে, ‘আমরা অবগত হয়েছি, প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সিএমএসডির মত আমলা পদায়নের পায়তারা করছে। আপনারা ইতিমধ্যেই গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আর তাঁর সরকারকে অনেক বিব্রত করেছেন আপনাদের ব্যর্থতার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপাবেন না, আর বেশী ধৃষ্টতা দেখাবেন না। এই ধরনের কোন পদক্ষেপ এদেশের চিকিৎসক সমাজ কোন ভাবেই মেনে নেবে না। যারা এই ষড়যন্ত্র করছেন তাদেরকে হুঁশিয়ার করছি আমাদেরকে এই করোনাকালে সর্ব্বাত্মক আন্দোলনে বাধ্য করবেন না।’
কিন্তু সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, এরকম কোন পরিকল্পনা বা সিদ্ধান্ত সরকার নেয়নি। এটা স্রেফ গুজব।
সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন, একটি দায়িত্বশীল সংগঠনের নেতৃত্বে থেকে স্বাচিপ সভাপতি এরকম অনাকাঙ্খিত গুজব ছড়াচ্ছেন।
এ ব্যাপারে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইকবাল আর্সলানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি একাধিক সরকারী কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে এরকম তথ্য জেনেছি। এর আগে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। সিএমএসডির পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে একই রকম ঘটনা ঘটেছে। এই দায়িত্ব একজন আমলাকে দেওয়া হয়েছে যেটা কখনো ছিলো না। আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে শুনেছি তাই এই স্ট্যাটাস দিয়েছি। এখন সরকার বলুক, এরকম কোন উদ্যোগ তারা নিচ্ছে না। সিএমএসডির পরিচালকের নিয়োগের বিষয়টি আমি টেস্ট কেস হিসেবে মনে করছি। এরকম অশুভ একটা পায়তারা সরকারের একটি মহলের রয়েছে বলে আমরা শুনেছি। সিএমএসডির মতো আমলারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদটিও কুক্ষিগত করতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।