জুমবাংলা ডেস্ক: সরকারের সাড়া জাগানো উদ্যোগ সার্বজনীন পেনশন স্কিমে প্রথম এমএফএস হিসেবে নিবন্ধন ও কিস্তি পরিশোধের মাধ্যমে হিসেবে যুক্ত হয়েছে মোবাইল আর্থিক সেবা নগদ লিমিটেড। এ বিষয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নগদ লিমিটেডের একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে নগদ লিমিটেড এবং জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তির ফলে নগদের প্রায় সাড়ে আট কোটি গ্রাহক এখন সরাসরি নগদ অ্যাপের মাধ্যমে সার্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে পারবেন এবং নিয়মিত কিস্তির টাকা জমা দিতে পারবেন। এর ফলে গ্রাহকের সামনে অসাধারণ একটি দুয়ার খোলার পাশাপাশি সার্বজনীন পেনশন স্কিমও পৌঁছে যাবে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর হাতের মুঠোয়।
নগদ লিমিটেডের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন নগদের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক এবং জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত সচিব কবিরুল ইজদানী খান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তরুণ কান্তি সিকদার, নগদের চিফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার শেখ শাবাব আহমেদ, হেড অব বিজনেস সেলস মোহাম্মদ মাহবুব সোবহান এবং হেড অব কমার্সিয়াল অ্যাফেয়ার্স মো. জিয়াউল পারভেজ চৌধুরী।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পক্ষে নির্বাহী চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত সচিব কবিরুল ইজদানী খান বলেন, ‘আজকের এই সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্য হলো, আমাদের ব্যবহারকারীরা যেন সহজেই পেমেন্ট করতে পারে সেই লক্ষ্যে নগদকে ফার্স্ট টায়ারে নিয়ে আসা। নগদের সার্বজনীন চাহিদা আছে, পেনশনেরও আছে সার্বজনীন চাহিদা। তাই সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই দুইয়ে একসাথে এগিয়ে যাওয়াটা সহজ। সে জন্য নগদকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছি আমরা। আমরা নগদকে সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে দেখতে চাই।’
অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে জাতীয় পেনশন কার্যক্রম আরও বেগবান হবে বলে আশা করি। এ ছাড়াও অনুরোধ থাকবে নগদের সাড়ে ৮ কোটি গ্রাহককে যেন পেনশন স্কিমের আওতায় নিয়ে আসা যায়। সে জন্য নগদকে দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে। খরচ কমিয়ে আনতে হবে।’
নগদের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি পেনশন স্কিমের গ্রাহক সংখ্যা নগদের মতোই কোটি ছাড়িয়ে যাবে, আমরা একসঙ্গে তা উদযাপন করব। এ ছাড়াও পেনশন স্কিমে পেমেন্টকারীদের চার্জ কমিয়ে রাখা হবে।’
এ বছরই জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের অধীনে চালু হয়েছে সার্বজনীন পেনশন স্কিম। এই স্কিমের আওতায় সরকারি চাকুরীজীবী ব্যাতীত দেশের সকল নাগরিককে পেনশন সুবিধার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ কারো বয়স ১৮ বছরের বেশি হলেই এখন অনলাইনে এটিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। গত আগস্টের ১৭ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি সাড়ম্বরে উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরপরই এতে অনেক সাড়া পড়ে বলে জানায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা নগদের। চার বছর পার করতে না করতেই নগদ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল আর্থিক সেবায় পরিণত হয়েছে। এখন এই প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা সাড়ে আট কোটির বেশি।
এই বিপুল গ্রাহক এখন চাইলেই নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি সার্বজনীন পেনশন স্কিমের কিস্তি প্রদান করতে পারবেন। সে জন্য নগদ অ্যাপে আলাদা একটি ট্যাব থাকবে বলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। এর ফলে পেনশন স্কিমের নিবন্ধন ও কিস্তি দেওয়া সহজতর একটি কাজে পরিণত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।