গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারন করে ইমু ও ফেসবুকে ভাইরাল করেছে কয়েকজন কিশোর। মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে সোমবার রাতে চার কিশোরসহ পাঁচ জনকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূল আসামি সুমন মন্ডলকে (১৮) মোবাইলসহ গ্রেপ্তার করে।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়া জানান, ঘটনার ভিডিও ধারনকারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাকে আজ মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও মামলার বিবরণে জানা যায়, মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় গ্রামের হিরালাল বাড়ৈর ছেলে দলিল লেখক সঞ্জয় বাড়ৈর (৩৬) সাথে একই উপজেলার ননীক্ষীর গ্রামের দুই সন্তানের জননীর নিপা বাড়ৈর (২৫) পরকীয়া প্রেম করে আসছিলেন।
এক পর্যায়ে সে তার আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে গত ২৯ মার্চ গোপালগঞ্জ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে দলিল লেখক সঞ্জয় বাড়ৈর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু বিয়ের তথ্য গোপন রেখে প্রায়ই তারা অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটাতেন।
এ বিষয়টি এলাকার কিছু কিশোরের নজরে আসে। গত ১৬ এপ্রিল রাতে দলিল লেখক সঞ্জয় তার দ্বিতীয় স্ত্রীর (নিপার) সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটানোর সময় সেই দৃশ্য তারা গোপনে মুঠোফোনে ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস করে দেয়। এমন ঘটনায় এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে ৪ কিশোরসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
ভুক্তভোগী দলিল লেখক সজ্ঞয় বাড়ৈ জানায়, কিশোর সুমন মন্ডলসহ কয়েকজন সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে আসছিলো। আমি টাকা না দেয়াতে তারা সেটা ফেসবকে ছেড়ে দেয়। আমি এর বিচার চাই।
তবে ননীক্ষী ইঊনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানসহ আরো কয়েকজন অভিযোগ করেন,সঞ্জয় বাড়ৈ এর আগেও কয়েকটি নারী কেলেংকারির ঘটনা ঘটিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।