জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার আদমদীঘিতে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় অবশেষে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আজ রবিবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে দু’জনের নাম উল্লেখসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির কোমারভোগ গ্রামের বদরুজ্জামানের ছেলে আজাদ (২৮) ও একই গ্রামের শুকরার ছেলে আল আমিন সহ (৩২) অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার কোমারভোগ গ্রামের ভ্যান চালক সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের আজাদ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সাদ্দাম বিষয়টি জানার পর প্রতিবাদ করলে আজাদ তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে গত বুধবার রাত ২টার দিকে সাদ্দাম প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর থেকে বের হলে একই গ্রামের আজাদ ও আল আমিনসহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনের একদল বখাটে তাকে মারপিট করে হাত-পা ও মুখ বেঁধে বাড়ির পাশের উঠানে ফেলে রেখে তার স্ত্রীর শয়ন ঘরে প্রবেশের চেষ্টা করে।
টের পেয়ে তার স্ত্রী দরজা বন্ধ করে মোবাইল ফোনে প্রতিবেশিদের ডাকলে তারা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশিরা সাদ্দামকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ভ্যানচলকের ভুক্তভোগী স্ত্রী দু’জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় যৌননিপিড়ন ও বেআইনি ভাবে দলবদ্ধ হয়ে বসত বাড়িতে অনাধীকার প্রবেশ করে মারপিট জখম ও হুমকি প্রদান সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভ্যানচলকের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। আাসামীদের গ্রেপ্তারের জোড় তৎপরতা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।