নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে স্বামীর প্রথম সংসারের শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সৎ মায়ের বিরুদ্ধে। পরে লাশ নিজ ঘরের সানসেটের ওপরে কাঁথা দিয়ে মুড়িয়ে লুকিয়ে রাখা হয়।
বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সৎ মা আয়না আক্তার (২৭) কে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত শিশুর নাম মীম আক্তার (৮)। সে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার গাবামাসি গ্রামের সবুজ মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সবুজ মিয়া কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকার সোজাবর আলীর ছয়তলা ভবনের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষ ভাড়া করে প্রথম স্ত্রী নাজমা বেগমকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ করেন।
প্রায় দেড় বছর আগে সবুজ মিয়া আয়না আক্তার নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। পরে একই ভবনের পঞ্চম তলায় আরেকটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে সেখানে রাখেন।
গত কয়েক দিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সবুজের বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সকাল থেকে সবুজের প্রথম সংসারের মেয়ে মীম আক্তারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে মাইকিং করা হয়।
এদিকে, সকাল থেকে সবুজের দ্বিতীয় স্ত্রী আয়নাকে দেখতে না পেয়ে একই ভবনের প্রতিবেশীরা তার খোঁজ করেন। তারা আয়নার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ভেতরে আয়নাকে বসে থাকতে দেখেন। সন্দেহ হলে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করলে আয়না ঘরের দরজা খুলে দেন। পরে প্রতিবেশীরা তার ঘরের সানসেটের ওপরে কাঁথা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় শিশু মীমের লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় সৎ মাকে আটক করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল বিশ্বাস বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জের ধরে প্রথম স্ত্রীর ঘরের সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন আয়না। শিশুটির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।