জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি ফেরার পথে হাতমুখ বেঁধে এক বিধবা নারীকে (২৬) রাতভর গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জবানবন্দি নেয়ার জন্য ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার ভাঙ্গা থানায় মামলাটি করেন ওই নারী।
কয়েক বছর আগে স্বামী মারা যাওয়া ওই বিধবা নারীর বাবার বাড়ি উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের খাকান্দা গ্রামে। তিনি সেখানেই বসবাস করছিলেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৮ মার্চ বিকেলে পার্শ্ববর্তী আলেখাঁরকান্দা গ্রামে চাচা শ্বশুর লুৎফর রহমানের কাছে পাওনা টাকা আনতে যান। সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়ির এলাকার দুই তরুণ আসাদুল ও আলামিনকে সাথে নিয়ে বাবার বাড়ি ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে আউড়াবাগে একটি বাগানের কাছে পৌঁছলে রুবেল, শাহীন, সজিব, রাকিব ও হাসিবুল নামে কয়েক যুবক ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে আসাদুল ও আলামিনকে মারধর করে এবং গৃহবধূর হাত ও মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী একটি নির্জনস্থানে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণ করে তারা। সকালের দিকে বাবার বাড়ি ফিরে নারীটি পরিবারের লোকজনের কাছে ঘটনাটি জানান।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, রোববার ওই নারী একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর ভিত্তিতে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার এসআই মো: তাহসিন জানান, ওই নারীকে সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জবানবন্দি নেয়ার জন্য ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী জানান, তদন্ত সাপেক্ষে এর সত্যতা জানা যাবে। গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।