জুমবাংলা ডেস্ক: কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন ১ জুলাই থেকে করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে সূর্যোদয়-সুর্যাস্তের বিরল দৃশ্য অবলোকনের সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায়। খবর বাসসের।
হোটেল-মোটেল খুলে দেয়ার বিষয়কে সামনে রেখে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেল ব্যবস্থাপনা বিষয়ক তিনদিনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে। পর্যটক ব্যবস্থাপনা যেন করোনা প্রতিরোধক হয় এতে কর্মীদের তা রপ্ত করানো হয়েছে।
প্রশিক্ষণের মধ্যে ছিলো- হোটেল বাইরের এবং ভিতরের এলাকা জীবানুমুক্ত করণ, হোটেল গাড়ি পার্কিং অঞ্চলসহ যানবাহন জীবানুমুক্তকরণ, সিকিউরিটিদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, দর্শনার্থীদের অনুপ্রবেশ পয়েন্টে এবং সহায়ক কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, দর্শনার্থীদের জন্য জীবানুমুক্ত চেম্বার ও হাত, মুখ ধোয়ার জন্য বেসিন সাবান ব্যবহারের সুযোগ রাখা, ফ্রন্ট ডেক্সসহ লাগেজ জীবানুমুক্ত করণ, প্রত্যেক দর্শনার্থীকে ইনফ্রারেড থারমাল স্ক্যানার স্ক্যানিং প্রক্রিয়া দ্বারা সুরক্ষা করা, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস নিশ্চিতকরণ, চেকিংপুর্ব নিবন্ধিত দর্শনার্থীর তাপমাত্রা লিপিবদ্ধ করা, হোাটেল ব্যবস্থাপককে অবশ্যই ডেক্স, লভি, আসবাবপত্র, সাধারণ স্থান, করিডোর, সিড়ি, রেলিং, দরজা, এবং হ্যান্ডেল, সকল টয়লেটে স্যানেটাইজার নিশ্চিত করা, বয়, আয়া, কর্মচারীদের টয়লেট আলাদা রাখার জোরারোপ।
এভাবে সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটার হোটেল- মোটেল প্রস্তুতের কাজ চলছে। আগামী ১ জুলাই থেকে টানা ১০০ দিন পরে ফের কুয়াকাটা পর্যটক দর্শনার্থীর পদভারে মুখরিত হয়ে উঠবে। করোনাকালের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন ১ জুলাই থেকে হোটেল-মোটেল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে সূর্যোদয়-সুর্যাস্তের বিরল দৃশ্য অবলোকনের সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায়।
কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানিয়েছেন, কঠোর নিয়মে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন সাধারণ স¤পাদক মোতালেব শরীফ জানান, কুয়াকাটায় ১২০টি হোটেল-মোটেল রয়েছে। একজন পর্যটক গাড়িসহ আসলে প্রথমে নির্দিষ্ট পোশাকে সজ্জিত হোটেল কর্মীরা গেস্টকে গাড়িসহ মালামাল, শরীর, জীবানুনাশক ¯েপ্র করে নিবে। হাত-পা ওয়াশ করানোর ব্যবস্থা করে স্যানেটাইজার ব্যবহার করে হোটেল অভ্যন্তরে আলাদা স্যান্ডেল পর্যন্ত থাকছে। তার কক্ষ আগে থেকেই স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে ব্যবহার উপযোগী করা হবে। নির্দিষ্ট ব্যক্তি কিংবা ব্যক্তিগণ একই কক্ষে অবস্থান করবেন। এছাড়া পর্যটন এলাকার ভ্যান, অটো, মোটরসাইকেলসহ যানবাহন ব্যবহারের আগে বারবার জীবানুনাশক স্প্রে করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। যানবাহন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করবে। বীচে বেঞ্চিতে অবস্থানকালেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এমনসব সকল বিষয় ইতোমধ্যে হোটেল ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে জড়িত পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিন দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
করোনাকালীন হোটেল-মোটেল ব্যবস্থাপনার ওপর করোনাকালীন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রশিক্ষণ সম্পন্নের ফলে কুয়াকাটায় পর্যটক-দর্শনার্থীরা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবে বলে হোটেল-মোটেল এসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষের দাবি। তারা জানান, পর্যায়ক্রমে তারা খাবার হোটেল মালিক কর্মচারী, এবং ভ্যান-অটো, মোটরসাইকেল চালকদের নিয়েও তারা করোনা প্রতিরোধক অনেক সভা, সেমিনার করেছেন।
কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, ক্যাবিনেট মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার নির্দেশনা আগেই দিয়েছে। হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ দিয়েছে, এটি ভালো দিক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।