জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার শাজাহানপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীদের হাতুরি পেটা করেছে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বলে অভিযোগ করেছে দলটি। এদিকে দল দুটির মধ্যে সৃষ্ট ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক হোসেন শরীফ মনিরসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক গাউসসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার রহিমাবাদ বি-ব্লক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন- উপজেলা ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আবু নাহিয়ান, আমিনুর রহমান, হাসান আলী, নাহিদ ও মিজান। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক হোসেন শরীফ মনির এবং উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক গাউসের মধ্যে গ্রুপ নিয়ে ঝামেলা চলছিল। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার বি-ব্লক এলাকায় পূর্বের জের ধরে উভয় গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে ধাওয়াা-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে একই এলাকায় হোসেন শরীফ মনির গ্রুপের সদস্য উপজেলা ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আবু নাহিয়ানকে মারপিট করে গাউস গ্রুপের সদস্যরা। খবর পেয়ে বিকেলে মনির গ্রুপ পাল্টা অ্যাকশনে গেলে উভয় গ্রুপের মধ্যে মারপিট ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে হোসেন শরীফ মনির জানান, গাউস এর উপস্থিতিতে আবু নাহিয়ানকে মারপিট করা হয়। তারা লাঠি, লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে আমাকে এবং আমার গ্রুপের ছেলেদের ওপর হামলা করে। এসময় হাতুড়ি দিয়ে আমার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং অন্যদেরকেও হাতুড়িপেটা করে। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করলে পালিয়ে যায় তারা।
শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ বলেন, দলীয় কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটেনি। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। এব্যাপারে শাজাহানপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক বলেন, উভয় পক্ষের তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।