জুমবাংলা ডেস্ক: রংপুরে হাড়িভাঙ্গা আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। আঁশবিহীন ও আঁটি ছোট বিশেষ বৈশিষ্ট্যের সুস্বাদু এই আমের চাহিদা দেশজুড়ে। বর্তমানে হাড়িভাঙ্গা আমের সয়লাব রংপুরের বাজারগুলোতে। প্রথমে আমচাষি ভালো দাম পেলেও বর্তমানে আমের দাম নিয়ে সংশয় ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে রংপুরে হাড়িভাঙ্গা আমের ফলন হয়েছে ১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। প্রথম দিকে আমের ভালো দাম পেলেও বর্তমানে দাম নিয়ে হতাশ আমচাষিরা। বাজারে প্রথম দিকে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে তা কমে এসে ৩০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে আম বাগান ক্রয় করে নেয়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে আমের দাম কম যাওয়ায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। এভাবে দিনের পর দিন হাড়িভাঙ্গা আমের দরপতন হলে পুঁজি হারানোর শঙ্কা রয়েছে অনেকেরই। যদিও অনেক ব্যবসায়ী ও বাগান মালিক রংপুরের বাইরের জেলাগুলোতে হাড়িভাঙ্গা আম বিক্রি করে ভালো মুনাফা গুনছেন।
পদাগঞ্জের আম ব্যবসায়ী আলম মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত তারা রংপুর থেকে রাজধানী ঢাকাতে প্রায় ৩ লাখ টাকার আম পাঠিয়েছেন। আমের দাম প্রথমে বেশি থাকলেও এখন একটু কম চলতেছে।
শাপলা চত্বরের মৌসুমী ব্যবসায়ী মজিবর হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি হাড়িভাঙ্গা আম ৫০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আর চলতি সপ্তাহে একই বাগান থেকে নেয়া হাড়িভাঙ্গা আম বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ৩০ টাকা দরে। অথচ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই আম রাজধানী ঢাকায় কেজি প্রতি ১০০ টাকা বা তার উপরে বিক্রি হচ্ছে।
আম চাষি ফরিদ মিয়া বলেন, আমার বাগানে আমের ভালো ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে আমের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকার ছিল। কিন্তু বর্তমানে বাজার মন্দা যাচ্ছে। কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যান বিশেষজ্ঞ খন্দকার মেজবাহুল ইসলাম বলেন, রংপুর অঞ্চলে হাড়িভাঙ্গা আমের ফলন বেশি হলেও ফজলি, এছাহাক, ছাইবুদ্দিন, সাদা ল্যাংড়া, কালা ল্যাংড়া, কলিকাতা ল্যাংড়া, মিশ্রীভোগ, গোপাল ভোগ, আম্রপালি, সাদারুচি, চোচা, আঁটিসহ হরেক প্রজাতির আম উৎপাদিত হয়েছে। এসব আমের ভিড়ে এখন সবচেয়ে বেশি চাহিদা হাড়িভাঙ্গার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।