বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : স্মার্টফোন যেমন আমাদের জীবনকে মুঠোর মধ্যে নিয়ে চলে এসেছে, তেমনি এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। একটি সমীক্ষা বলছে, স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে স্কুলে পাঠরত কিশোর-কিশোরীরা বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতেই ভুলে যাচ্ছে।
যার জেরে ২০ বছর আগের তুলনায় এখনকার পড়ুয়ারা অনেক বেশি নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছে। গবেষকরা যুক্তরাজ্যে ১৫ এবং ১৬ বছর বয়সীদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যে সমবয়সীদের মধ্যে নিঃসঙ্গবোধ ২০০০ সাল থেকে তিনগুণ বেড়ে ৩৩ শতাংশ হয়েছে -যার অর্থ বর্তমানে তিনজনের মধ্যে একজন একাকিত্বে ভুগছে। গবেষকরা বলছেন এই স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপক ব্যবহারের সাথে এই প্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
হাতে ফোন থাকায় ছাত্ররা নিজেদের মধ্যে সেভাবে আলাপচারিতা করছে না এবং সহপাঠীদের ছাড়াই অনলাইনেই নিজেদের বিনোদনের রসদ খুঁজে নিচ্ছে। গবেষণাপত্রে দেখা গেছে যে ২০০০ সালে, যুক্তরাজ্যের ১৫ এবং ১৬ বছর বয়সীদের মধ্যে ১০ শতাংশকে নিঃসঙ্গতা গ্রাস করেছিল। ২০০৩ সালেও সেই প্রবণতা অব্যাহত ছিল।
কিন্তু ২০১২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এই সংখ্যা অত্যধিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩ শতাংশে পৌঁছেছে। যা সত্যি উদ্বেগের। যুক্তরাজ্যের তথ্য বলছে প্রায় ৬০ হাজার টিনএজার একাকিত্বের শিকার। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর জানা গেছে স্কুলে যাবার পর সহপাঠীদের সঙ্গে কথা না বলার দরুন তারা নিজেদের বহিরাগত বলে মনে করছে। সান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক দলটি বলেছে, এই একাকীত্ব ‘কিশোর মনে অসুস্থতা এবং বিষণ্নতা বাড়িয়ে তুলছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক প্রভাবের জেরে কিশোর মন সাইবার বুলিং – এর শিকার হতে পারে সচেতন করেছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে একাকিত্বের প্রবণতা বাড়ছে। জার্নাল অফ অ্যাডোলেসেন্সে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, স্মার্টফোন এবং একাকিত্বের মধ্যে একটি দৃঢ় যোগসূত্র রয়েছে। গবেষকরা বলেছেন, স্মার্টফোন অ্যাক্সেস বৃদ্ধির সাথে সাথে কিশোর-কিশোরীদের সুস্থতা ২০১২ সালের পর থেকে হ্রাস পেতে শুরু করেছে ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।