জুমবাংলা ডেস্ক : দুএকদিনের মধ্যেই কোলজুড়ে আসতো ফুটফুটে শিশু। এ নিয়ে কত খুশিতে দিন কাটছিল সুলতানা আক্তারের পরিবারের। এজন্য তারা অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রিয় সন্তানের মুখ আর দেখা হয়নি। মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় সড়কেই নিভে যায় সুলতানার জীবনপ্রদীপ।
বুধবার সকালে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার রামগঞ্জ-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কে। ইটবাহী হ্যান্ড ট্রাক্ট্ররের মুখোমুখি ওই সংঘর্ষের ঘটনায় অটোরিকশার চালক ইদ্রিস মিয়াও মারা গেছেন। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহত সুলতানার মা সালেহা আক্তার।
সকাল পৌনে ১০টার দিকে ১১নং পোলেরগোড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুলতানা আক্তার উপজেলার পূর্ব শোশালিয়া কাঠিয়াবাড়ি এলাকার মোহাম্মদ সোহাগের স্ত্রী এবং ইদ্রিস মিয়া একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে। আহত সালেহা আক্তার একই এলাকার মনির হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ সুলতানা আক্তার কয়েকদিন আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি দশগরিয়ায় যান। বুধবার সকালে মা সালেহা আক্তারকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে চাটখিল হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বের হন তিনি। অটোরিকশা রামগঞ্জ-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের ১১নং পোলের গোড়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা ইটবাহী একটি হ্যান্ডটাক্ট্রর রিকশাটিকে সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশাটি উল্টে সড়কের পাশে ছিটকে পড়লে রিকশায় থাকা সুলতানা ও চালক ইদ্রিস ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন গৃহবধূর মা সালেহা আক্তার।
চাটখিল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে হ্যান্ডটাক্ট্ররটি আটক করা হয়েছে। আহত সালেহা আক্তারকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।