স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে সফরকারীরা। অস্ট্রেলিয়া দলের ব্যাটিংয়ের সময় হঠাৎ এক দফা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় মাহমুদউল্লাহ ও মিচেল মার্শের মধ্যে।
শরিফুল ইসলামের শর্ট বলটা আড়াআড়ি খেলতে যাওয়া মার্শ কিছু একটা বলেছিলেন শরিফুলকে। এর জবাবই দিয়েছেন টাইগারদের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। পরে আম্পায়ার এসে শান্ত করেছেন পরিস্থিতি।
এর আগে নাসুম আহমেদের লেগসাইডের বলটা টেনে মারতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে শরিফুলের হাতে ধরা পড়েন ওয়েড। অজি অধিনায়ক ৫ বলে মাত্র এক রান করেই সাজঘরের পথে ধরেন।
এরপর বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ান মার্শ ও বেন ম্যাকডারমট। অজিদের হয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করছিলেন তারা। তবে ম্যাকডারমটকে সাজঘরে ফেরান সাকিব। ৪১ বলে ৩৫ রান করেছেন এই ওপেনার।
এরপরই ময়েস হেনরিক্সকে ফেরান শরিফুল। শামীমের হাতে ধরা পড়ার আগে ৩ বলে ২ রান করেন তিনি।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) টস জিতে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের যাওয়া আসার মিছিলে একপাশ আগলে রেখেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে শেষ দিকে ক্যারিয়ারের ৫ম হাফ সেঞ্চুরি করে সাজঘরে ফেরেন সাইলেন্ট কিলার। অন্যদিকে, সাকিব আশা জাগিয়েও সাজঘরে ফেরায় বাকিরা আর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিতে পারেননি।
এদিন, শুরুতেই হতাশ করেন ওপেনাররা। মাত্র ১ রান করেই হ্যাজলউডের শিকার হন মোহাম্মদ নাইম। এরপরেই ২ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। তাকে ফেরান অ্যাডাম জাম্পা।
এতে দ্রুতই ক্রিজে আসতে হয়েছে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহকে। ঠান্ডা মাথায় খেলছিলেন তারা। জাম্পাকে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন সাকিব। দৌড়ে গিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন অ্যাগার। ১৭ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
এরপর ক্রিজে এসে আশা জাগিয়েছিলেন আফিফ। কিন্তু মিড-অফে ঠেলে সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ড্রাইভ দিয়ে ধরে ওঠার আগেই ছুঁড়ে মেরেছেন অ্যালেক্স ক্যারি, যে থ্রো-তে সরাসরি ভেঙেছে স্টাম্প। ১২তম ওভারের শেষ বলে ৪র্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৩ বলে ১৯ রান তুলেছেন আফিফ।
বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শামীম হোসেনও। হ্যাজলউডের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে টাইমিং করতে পারলেন না শামীম। মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি, ৮ বলে ৩ রান করে। মিডউইকেটে পেছন দিকে ছুটে বেশ ভালো ক্যাচ নেন বেন ম্যাকডারমট।
এরপর রানআউট হয়ে ফেরেন নুরুল হাসান সোহান। ৫ বলে ১১ রান করেন তিনি। ৫৩ বলে ৫২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। মোস্তাফিজ ফেরেন শূন্য রানে। মেহেদী হাসান ৬ রানে ও শরিফুল শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেক ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাথান এলিস। তার শিকার হন- টাইগারদের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী এবং মোস্তাফিজ। এছাড়া, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজলউড নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
সিরিজ নিশ্চিত করার ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগাররা। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বৃষ্টির হানায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে টস হয়। ইতোমধ্যে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।