স্পোর্টস ডেস্ক : ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে হরহামেশা। ক্রিকেটারদের নিবেদন নিয়ে উঠে প্রশ্ন । আয়োজকদের আয়োজন নিয়েও হয় সমালোচনা। কিন্তু এবার মাঠের ক্রিকেট নিয়েই আপত্তি তুলল ক্রিকেটাররা।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যে বল ব্যবহার করা হয় তা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ মোহাম্মদ শরীফ। ‘জানি না কথা বলা ঠিক হবে কিনা… এরপরেও বলা উচিত। বল যদি ভালোমানের থাকে, সেখানে বলেরও কিছু গুরুত্ব আসবে। হয়তো বা উইকেট অনেক সময় ড্রাই থাকে। কিন্তু বল অনেক সময় নরম থাকে। এই কারণে বল এবং উইকেট না মিললে আসলে সেখান থেকে ভালো ফলাফল আসে না।’
শরীফের দাবি, ‘ভারতের প্রতিষ্ঠান এসজি-র বানানো বলে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা হয়। বিসিবি বছরে প্রায় ১০০০ বল একবারে কিনে আনে। দীর্ঘ সময় ধরে অনেক বল অব্যবহৃত থাকে। এতে বলের টেম্পার নষ্ট হয়ে যায় দ্রুত। ওই ধরণের বল যদি আপনি শুরুতেই পান তাহলে ৩-৪ ওভার পরই বলের সেপ নষ্ট হয়ে যায়। আবার আপনি খেলে থাকেন ফ্ল্যাট উইকেটে। এ ধরণের উইকেটে যদি ওই রকম বল পান তাহলে ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং করা সুবিধা হয়ে যায়। এজন্য দেখবেন এখন ব্যাটসম্যানরা রান পেয়ে যায় সহজে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর সাস্টেইন করেতে পারে না। জাতীয় লিগ খুবই বড় মাপের ক্রিকেট প্রতিযোগীতা। এটাকে কোনোভাবেই আপনি ইগনোর করতে পারেন না।’
৩৯৩ উইকেট পাওয়া এ পেসার জানালেন, শেষ কয়েক মৌসুম ধরেই এ ধরণের বল দেখা যাচ্ছে। গত বছর ইনজুরির কারণে বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। এর আগের মৌসুমে একাধিক মাঠে বল নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন বোলাররা। মূলত এসজি বল নিয়ে আপত্তি বোলারদের। কুকাবুরা বল নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। তবে কুকাবুরা বল পাওয়া হয় সামান্য। বাংলাদেশ দল টেস্ট খেলছে কাদের বিপক্ষে সেটির ওপর নির্ভর করে জাতীয় লিগে বল ব্যবহৃত হয়। সচরাচর উপমহাদেশের কোনো দলের বিপক্ষে খেলা হলে এসজি এবং উপমহাদেশের বাইরের হলে কুকাবুরা বলে খেলা হয়।
১৩২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা শরীফ এবারের জাতীয় লিগ দিয়ে অবসরে যেতে পারেন। সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে তার প্রত্যাশা, ঘরোয়া ক্রিকেটের দ্রুতই নজর দেবে বিসিবি। তাতে লাভবান হবে জাতীয় ক্রিকেট দল।
এদিকে বল ইস্যুতে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম খান শরীফের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন,‘বল নিয়ে হঠাৎ অভিযোগ কেন উঠল তা বলতে পারছি না। তবে এতোটুকু বলতে পারছি এরকম কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বললেই বাকিটা জানতে পারবেন। ’
বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন বিসিবির একাধিক আম্পায়ার। তাদের দাবি, বল পুরোনো হলে এমনিতেই তা চোখে পড়ে তাদের। পুরোনো বলে খেলা চালানো হয়নি কখনোই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।