জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা শিমুল হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম করেনাভাইরাসে আক্রান্ত না হয়েও ‘করোনা নাটক’ সাজিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বগুড়া (শজিমেক) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তিও ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল। তার করোনা ওয়ার্ডে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ।
গত ২২ ডিসেম্বর শজিমেক হাসপাতলের রিপোর্টে তার করোনা নেগেটিভ আসে।
নিহত শিমুল বিহার ইউপির মোন্নাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম আফজাল হোসেন। শিমুলের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রয়েছে বলে জানান শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হরিদাস মণ্ডল।
গত ২১ ডিসেম্বর শিমুল মামলার হাজিরা দিতে বগুড়ার আদালতে যান। পরে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। ওই দিন সন্ধ্যায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা থেকে শিমুলের হাত-পা ভাঙা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বস্তাবন্দি করে তাকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার আলীপুর এলাকায় ফেলে দেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার শিমুলের ভাই ইউপি সদস্য রায়হান গোবিন্দগঞ্জ থানায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুলকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলার পর বৃহস্পতিবার মহিদুলকে গ্রেফতারের দাবিতে শিবগঞ্জের বিহার বন্দরে শত শত মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন ও তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, মামলাটি পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
শিমুলের ভাই রায়হান বলেন, চেয়ারম্যান মহিদুল তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। চেয়ারম্যান তার অবৈধ কাজকর্ম করার জন্যে শিমুলকে দলে নিতে ব্যর্থ হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
রায়হান বলেন, হত্যার দায় থেকে বাঁচতে করোনা আক্রান্তের নাটক সাজিয়েছেন মহিদুল।
শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, করোনা আক্রান্ত না হয়েও করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা যায়। তার করোনা উপসর্গ ছিল। এ কারণে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসলেও তিনি করোনা আক্রান্ত না একথা বলা যাবে না। কারণ করোনা নেগেটিভ মানে করোনা আক্রান্ত না, এমন কিছু না।
ডা. ওয়াদুদ বলেন, এর বেশিকিছু জানতে চাইলে আপনাকে লিখিত আবেদন করতে হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গাইবান্ধার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ইন্সপেক্টর আব্দুস সবুর জানান, মামলার তদন্ত চলছে। একটি ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে এর চাইতে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।