জুমবাংলা ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা প্রতিনিয়ত আমাদের বাড়িতে ঘোরাঘুরি করতেন। চেনাজানা সে মানুষগুলোই পরে বঙ্গবন্ধুর খুনি রূপে দেখা দিলেন’।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মেজর ছিলেন। তাকে প্রমোশন দিয়ে দিয়ে মেজর জেনারেল করা হয়েছিল। বোধহয় মাসে একবার করে হলেও তিনি আমাদের বাড়িতে আসতেন। কখনো একা, কখনো খালেদা জিয়াকে সাথে নিয়ে। কারণ খালেদা জিয়াকে সাথে নিয়ে আসলে মার সাথে দেখা করার উছিলায় উপরে যেতে পারতেন। আর আমাদের ওই লবিতে দুটো মোড়া পেতে বসতেন। ঘনঘন তার যাতায়াত ছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডালিম, ডালিমের শ্বাশুড়ি, ডালিমের বউ দিনরাত আমাদের বাসায় ঘোরাঘুরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ওসমানীকে যখন সশস্ত্র বাহিনীর অধিনায়ক করা হল তখন তার এডিসি হিসেবে কামালকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো। তার সাথে মেজর নূর একই রুমে থেকেছে, একই সাথে তারা এডিসি ছিলো। আর এরাই এ হত্যাকাণ্ডটা চালাল। মোশতাক তো ছিলেন মন্ত্রী।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে অনেক চেহারা আপনারা দেখছেন যারা বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন, অনেক বড় বড় কথা, নীতির কথা এখন বক্তৃতায় শোনায়। তারা কি করেছিলেন? তারা কি এ সমস্ত ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ছিলেন না? এবং তারা ভেবেছিল এভাবেই বোধহয় ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন, কিন্তু সে ক্ষমতা টিকেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোশতাক অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করার পরপরই জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান ঘোষণা করলেন। জিয়াউর রহমান কীভাবে তার এত বিশ্বস্ত হলো যে তাকেই সেনাপ্রধান করলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা যে জিয়ার সাথে যোগাযোগ রেখেছে, এবং জিয়ার কাছ থেকে ইশারা পেয়েছে, এবং জিয়া যে তাদের সমর্থন দিয়ে আশ্বস্ত করেছে, সেটা ফারুক রশীদের বিবিসির সাক্ষাৎকার দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন। তারাই বলে গেছেন।
‘এরা করা ছিল? এরা কি স্বাধীনতা চেয়েছিলেন, এরা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করতেন? এরা কি যে নীতিমালা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছিল তাতে বিশ্বাস করতেন? তারা তা করতেন না’- বলে যোগ করেন শেখ হাসিনা।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, আব্দুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, সদস্য অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানসহ আরো অনেকে।
যৌথভাবে সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।