হবু জামাইয়ের কাছে মিনিটে ৬ লাখ টাকা চেয়েছিলেন হংসিকার মা
বিনোদন ডেস্ক : গত বছরের ৪ ডিসেম্বর দীর্ঘ দিনের প্রেমিক সোহেল কাঠুরিয়ার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হংসিকা মোতওয়ানি। জয়পুরের মুন্ডোটা ফোর্ট অ্যান্ড প্যালেসে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। রাজকীয় আয়োজনে মালা বদল করলেও এ সময় উপস্থিত ছিলেন তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও দুই পরিবারের সদস্যরা।
হংসিকার বিয়ের ভিডিওর স্বত্ত্ব কিনে নিয়েছে একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। এসব ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর বিয়ের অনুষ্ঠানের নানা মুহূর্ত সামনে আসছে। দ্বিতীয় কিস্তির ভিডিও সামনে আসার পর জানা গেলো, হংসিকার মা তার হবু মেয়ের জামাইয়ের পরিবারের কাছে প্রতি মিনিটের জন্য ৬ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন।
ঠিকঠাকমতো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেও হংসিকার বরের পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছিলেন তার মা মোনা মোতওয়ানি। কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘কাঠুরিয়ারা এমন লোক, যারা খুব দেরি করে আর মোতওয়ানি খুবই সময়নিষ্ঠ। তুমি যদি আজ দেরি করে আসো, তবে প্রতি মিনিটের জন্য তোমাকে ৫ লাখ রুপি দিতে হবে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকার বেশি)। কারণ এদিন বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত অশুভ লগ্ন ছিল। সুতরাং আমার অনুরোধ, তুমি যদি আসো তবে আগেই চলে আসবে।’
বিয়ের মণ্ডপে প্রেমিক সোহেল কাঠুরিয়াকে দেখে কেমন অনুভূতি হয়েছিল তা ব্যাখ্যা করেছেন হংসিকা। এ অভিনেত্রীর ভাষায়— ‘ওই দৃশ্যটি আমাকে দারুণভাবে নাড়া দিয়েছিল। আমি ভাবছিলাম, আমি আমার ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ঘর বাঁধতে যাচ্ছি। ওই মুহূর্তের অনুভূতি অন্যরকম ছিল; যা আমি বলে বোঝাতে পারব না।’
হৃতিক রোশান অভিনীত ব্যবসাসফল সিনেমা ‘কোই মিল গ্যায়া’। সিনেমাটিতে ছোট্ট টিনা চরিত্র দর্শকের মন কেড়েছিল। আর এ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হংসিকা মোতওয়ানি। ছোট্ট সেই টিনা সোহেল কাঠুরিয়ার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন।
টিভি সিরিয়ালে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন হংসিকা। পরে চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে নাম লেখান। ২০০৭ সালে তেলেগু ভাষার ‘দেশামুড়ুরু’ সিনেমায় প্রথম নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন। তারপর তামিল, মালায়ালাম, কন্নড়, হিন্দি ভাষার অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। বর্তমানে তামিল-তেলেগু ভাষার সাতটি সিনেমার কাজ তার হাতে রয়েছে।
রোমান্সে পরিপূর্ণ এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও পরিবারের সামনে দেখবেন না
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।