জুমবাংলা ডেস্ক: দেড় শতাধিক বছর আগে জমিদার হরিচরণ রায়চৌধুরী একচল্লিশ কক্ষের তিনতলা বিশিষ্ট এল প্যার্টানের একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। যার অবস্থান সাতক্ষীরা জেলা শহর থেকে প্রায় ৭২ কিলোমিটার দূরে শ্যামনগর উপজেলার নকিপুরে। বিশাল এলাকা জুড়ে একাধিক বাড়ি, মন্দির, মাঠ, নহবতখানা ও পুকুর সম্বলিত, ধ্বংসপ্রাপ্ত এক নান্দনিক জমিদার বাড়ি।
শ্যামনগর থানার দুই কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এই জমিদার বাড়ি দুই তলা বিশিষ্ট। যার প্রাচীন স্থাপত্য শৈলীর এক অপূর্ব নিদর্শন। জমিদার বাড়ির মূল ভবনটি ১৯ মিটার লম্বা, এর ভেতরে ছিলো আটটি পিলার ছিলো। শ্যামনগর, সাতক্ষীরা থেকে ২ কিমি দূরে জমিদার হরিচরণ রায়ের বাড়ীর দীঘির পাশে জোড়া শিবমন্দির অবস্থিত। সংস্কারের অভাবে খসে পড়ছে ইট-সুরকি। জমিদার বাড়িটিতে আশ্রয় নিয়েছে গরু আর ভাসমান মানুষ। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে হতে পারতো দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলার দর্শনীয় পূরাকীর্তি।
ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা, বাসে চড়ে কালিগঞ্জ-শ্যামনগর, ভ্যানে চড়ে জমিদার বাড়ি। শ্যামনগর বাস স্ট্যান্ডে নেমে ভ্যান/রিক্সা কিছু নিয়ে চলে যেতে পারবেন, ২ কিমি দূরে, জমিদার বাড়ী বললেই হবে। ঢাকার কল্যাণপুর অথবা গাবতলি থেকে সরাসরি বাসে করে সড়কপথে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় পৌছাতে পারবেন।
রাস্তার অবস্থা ভাল হওয়ায় যাত্রাপথে আপনার কোন কষ্টই হবে না। সাতক্ষীরা শহরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অল্প ভাড়ায় রিকশায় করে চলাচল করতে পারবেন। তবে, জমিদারবাড়িতে পায়ে হেঁটে যাওয়াই ভাল এতে করে সবকিছু ভাল করে দেখতে পারবেন। সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় সরাসরি বাসে করে ফিরতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।